ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ সাতক্ষীরা: প্রতাপনগর (আশাশুনি) থেকে ॥ শ্রীপুর-কুড়িকাহুনার রিং বাঁধ ভেঙ্গে আবারো প্রতাপনগরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গতকাল সকালের জোয়ারে শ্রীপুর-কুড়িকাহুনি লঞ্চ ঘাটের উত্তর পার্শ্বে রিং বাঁধের দুটি স্থান থেকে ভেঙ্গে কপোতাক্ষের লোনা জলে আবারো প্লাবিত করলো এ অঞ্চলটি। আবারো জোয়ার ভাটার স্রোত ধারা বয়ে চলেছে এ অঞ্চলে। রিং বাঁধের উপরে মাটি না দেওয়ায় এমনটি হলো বললেন স্থানীয়রা। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় রিং বাঁধে কাজ না করা ও সঠিক ভাবে মনিটরিং না করার কথা বলেন ভুক্তভোগী অনেকে। বিগত ২০ মে সুপার সাইক্লোন জ্বলোচ্ছ্বাস ঘুর্নিঝড় আম্ফানে বিধ্বস্ত প্রতাপনগরের পাউবোর ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ীবাঁধের ৯ টি পয়েন্ট ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বহমান জোয়ার ভাটার স্রোত ধারা চলতে থাকে। সেই থেকে প্লাবিত এলাকা বাঁচতে হাজারো ভুক্তভোগী সকল শ্রেণী পেশার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে গ্রামের আবাদী জমির উপর দিয়ে রিং বাঁধের কাজ করে যাচ্ছে। গত ৩০ মে শনিবার দিনভর হাজারো এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে খাল চাপানোর মাধ্যমে রিং বাঁধটি টিকে যায়। জোয়ার ভাটার স্রোত ধারার থেকে রক্ষা পায় শ্রীপুর কুড়িকাহুনিয়ার কিছু এলাকাবাসী। ভ্যাগের নির্মাম পরিহাসে আবারো জোয়ার ভাটার স্রোত ধারা চলছে এ এলাকায়। ভাঙ্গন স্পটে সংবাদ সংগ্রহে গেলে বানভাসী অনেকে বলেন- কপোতাক্ষ আমাদের ভাষায় কপোতাক্ষ আমাদের বাচাঁয়। প্রতি বছর কোন না কোন সময় এ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়। তাই আবারো যদি এ বাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা ঠিকাদারের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের আবারো প্লাবিত হয়ে ভাষতে কপোতাক্ষের লোনা জলে। আমরা ত্রাণ চাই না! বেঁচে থাকলে রেজেক জোগাড় করতে পারবো। আমরা টেঁকসই বেড়ীবাঁধ চাই। তাই আমাদের একটাই দাবী সেনাবাহিনীর মাধ্যমে টেঁকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণ। উল্লেখ্য যে, চাকলা, সুভদ্রাকাটি, রুইয়বিল, দিঘলার আইট, প্রতাপনগর এসব এলাকায় জোয়ার-ভাটার স্রোতধারা বহমান চলছে।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …