ক্রাইমবার্তা রিপোট : এবার মন্ত্রীর পর বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো: দাউদুল ইসলাম করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সিভিল সার্জন ডা.অং সুই প্রু মারমা এ তথ্য জানান। কক্সবাজার ল্যাবে পরীক্ষার পর এ তথ্য জানা যায়। এর আগে কক্সবাজার থেকে আসা রিপোর্টে বান্দরবানের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের চিকিৎসক এর করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। এ নিয়ে বান্দরবান সদরে ২ জন করোনা শনাক্ত হয়। বান্দরবানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ জন। জেলা স্বান্থ্য বিভাগ জানায় বান্দরবান জেলার জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলামসহ ২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। কক্সবাজার ল্যাবে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশের পর তার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়।
গত ৯জুন জেলা প্রশাসকে নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।এদিকে কক্সবাজার ল্যাব থেকে আসা আরেকটি রিপোর্টে বান্দরবানের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা.কামরুল এর করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। বান্দরবান সদরে ২ জন করোনা শনাক্ত হয়। এনিয়ে বান্দরবান জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ জন। সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রু মারমা বলেন বান্দরবান জেলার জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলামসহ সদরে দুজন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। গত পরশুদিন জেলা প্রশাসকের নমুনা পরীক্ষার জন্য কক্সবাজারে পাঠানো হয় তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। জেলা প্রশাসকের হালকা জ¦র ছিল তবে বর্তমানে অনেকটা সুস্থ্য আছেন। তিনি বাংলোতে আইসোলেশনে আছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শামীম হোসেন জানান, প্রশাসনের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে। এদিকে পার্বত্য এ জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া গত ১০জুন থেকে সদর উপজেলা পৌরসভা এলাকা এবং রুমা উপজেলাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। কার্যকর করতে বুধবার দুপুর থেকে চলছে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘লকডাউন’।
অবরুদ্ধ এ দুটি এলাকায় জরুরী সেবা ছাড়া সব ধরনের ব্যক্তিগত যানবাহন এবং গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া শহর থেকে কোনো উপজেলায় ছেড়ে যাচ্ছে না যানবাহন।