ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ যশোর: যশোরের শার্শা ও বেনাপোলকে ‘লাল জোন’ ঘোষণা করাায় এলাকার দোকানপাট ও হাটবাজার বন্ধ রয়েছে। ঘোষিত এলাকার পুলিশের পাহারা জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী এলাকায় টহল দিচ্ছেন। ঘর থেকে বের হলেই পড়তে হচ্ছে পুলিশি জেরায়। বাইরে বের হওয়ার উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে ফের আবার বাড়ি ফেরত পাঠাচ্ছে পুলিশ। অনেক এলাকা লকডাউন করে করোনা নেগেটিভ ব্যক্তিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে। তবে সুরক্ষা মানছে অনেকেই। স্বাস্থ্য কমকর্তা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা, কোভিড-১৯ রোগীদের বাড়িতে যান এবং তাদের খোঁজ খবর নেন।
শার্শা উপজেলা ‘লাল জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। বেনাপোল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নামাজগ্রাম ও দূর্গাপুর গ্রাম এবং শার্শা সদর ইউনিয়নের কাজিরবেড়, নাভারন রেলবাজার, উত্তর ও দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রাম রয়েছে লাল জোনের আওতায়। মঙ্গলবার দুপুরে লাল জোন ঘোষিত বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে এসব চিত্র দেখা যায়।
এলাকার দোকানপাট ও হাটবাজার কিছুটা বন্ধ হলেও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলাসহ জরুরি পরিসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের চলাফেরার কারণে বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিরা লাল জোন এলাকায় ঢুকে পড়ছে। এছাড়া ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার কারণে সেবা গ্রহীতারাও ঢুকে পড়ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল, সহকারী কমিশনার(ভূমি) খোরশেদ আলম, ডা. ইউছুপ আলম, শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মহসিন খান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও শার্শা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোহারব হোসেনকে সাথে নিয়ে লাল জোনের কাজকর্ম বাস্তবায়ন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল ও ডা. ইউছুপ আলম বলেন, করোনা সংক্রামণ এড়াতে উপজেলার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ছয়টি এলাকা রেড জোন ঘোষণাপূর্বক একটি আদেশ জারি করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। মানুষ কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বাইরে চলাচলের চেষ্টা করছে। অকারণে বাইরে বের হওয়া মানুষগুলোকে বুঝিয়ে আবার বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …