ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ চলতি বছর মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে গেছে। আর মৌসুমি বায়ু প্রথম থেকেই সক্রিয়। যে হারে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হচ্ছে তাতে এবার দেশের উপকূলীয় এলাকা বাদে সারাদেশেই বন্যার ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। চলতি জুন মাসের শেষ নাগাদ দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে পাহাড়ী ঢলের কারণে এই সময়ে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও বন্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এবার নদীগুলোতে আগেই পানি এসে গেছে। ইতিমধ্যে যমুনা নদীর পানি অনেক বেড়ে গেছে। অন্য নদীগুলোর পানিও বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং আবহাওয়া অধিদফতর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এবার মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই বৃষ্টিপাত অনেক বেড়ে গেছে। আর শুরু থেকেই বেশ সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে মৌসুমি বায়ু। ফলে চলতি মাসেই সারাদেশে ভারি বৃষ্টির আভাস রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে জুনের শেষ নাগাদ দেশে বন্যা দেখা দিতে পারে। আর সারাদেশই এবার বন্যার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ এবার দেশের প্রধান নদীগুলোর পানি আগেই অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে সিরাজগঞ্জের কাছে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। মে মাসের শেষে এবং জুনের শুরুতেই যমুনায় যে পরিমাণ পানি বেড়েছে, তা গত ১৯৮৮ সালের পর আর দেখা যায়নি। দেশের নদীর সমতলে ৯০টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৪৯টি স্টেশনে সমতলে নদীগুলোর পানি বাড়ছে। তার মধ্যে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এখনো বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বাড়ার এ ধারা অব্যাহত থাকলে ১৫ জুনের পর যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে লঘুচাপের প্রভাবে সাগর ও উপকূল এলাকায় গভীর সঞ্চারশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে ও বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূল এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। তাছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ করতে না করা হয়েছে। সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রায় সারাদেশের ওপর দিয়েই বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করছে। এটি আরো ঘনীভূত হতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের পূর্বাংশ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। এটি আরো অগ্রসর হয়ে সারাদেশে বিস্তার লাভ করবে। এদিকে বন্যার আশঙ্কা প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, এবার মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেশি। আবহাওয়া অফিস বলছে জুন-জুলাইয়ে বৃষ্টিপাত বেশি হবে। আর এই ধারা অব্যাহত থাকলে জুনের শেষ নাগাদ দেশে বন্যা দেখা দিতে পারে।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …