ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ কল্পে সংক্রমিত এলাকা হিসেবে সাতক্ষীরা পৌরসভা ও ৪টি ইউনিয়ন রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। একই সাথে জেলার ১৪টি ইউনিয়ন ইয়েলো জোন হিসেবে ঘোষণা করারও প্রস্তাব করা হয়েছে। মঙ্গলবার জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগির উপর এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন মহা পরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করেছেন। এছাড়া জেলার বাকি পৌরসভা ও ইউনিয়নগুলো গ্রিন জোন হিসেবে স্বাভাবিক থাকবে বলে জানা গেছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিস বুধবার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন সাফায়াত জানিয়েছেন, সাতক্ষীরা পৌরসভায় ৮৬ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ৮জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগি রয়েছে। এছাড়া কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নে ২৭ হাজার ৮৬৬ জন মানুষের বিপরিতে ৩জন, দেবহাটার সখিপুর ইউনিয়নে ২৩ হাজার ৯৬০ জন মানুষের বিপরিতে ৩জন, তালা সদর ইউনিয়নে ৩৩ হাজার ২৭ জনের বিপরিতে ৩জন ও একই উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে ২১ হাজার ৬৯৯ জন মানুষের বিপরিতে ২জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগি রয়েছে।
ঢাকার বাইরে গড়ে ১০ হাজারে ১জন বা এক লাখে ১০জন করোনা রোগি শনাক্ত হলে সেই এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই নির্দেশনার পর সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন এ প্রতিবেদন প্রস্তুত করে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য মহা পরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবর প্রেরণ করেছেন।
অপরদিকে ইয়েলো জোন হিসেবে আশাশুনি সদর ইউনিয়নে ২৮ হাজার ৯৪৬ জনের বিপরিতে ২জন করোনা রোগি চিহ্নিত হয়েছে। কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৫৬১ জনের বিপরীতে ১জন, কেড়াগাছি ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৮২১ জনের বিপরীতে ১জন, লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নে ২০ হাজার ৭৩৩ জনের মধ্যে ১জন, সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নে ২০ হাজার ৯ জনের বিপরীতে ১জন করোনা রোগি চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়া কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নে ২৭ হাজার ৫২১ জনের বিপরীতে ১জন, কুশলিয়া ইউনিয়নে ২৬ হাজার ৯৬৯ জনের বিপরীতে ১জন, নলতা ইউনিয়নে ৩৭ হাজার ৮৭৯ জনের বিপরীতে ২জন করোনা রোগি রয়েছে। পাশাপাশি দেবহাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৩৬৬ জনের বিপরীতে ১জন, পারুলিয়া ইউনিয়নে ৩১ হাজার ৬৪১ জনের বিপরীতে ২জন করোনা রোগি শনাক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে তালা উপজেলার খলিশখালি ইউনিয়নে ২৫ হাজার ৮০৯ জনের বিপরিতে ২জন, মাগুরা ইউনিয়নে ২০ হাজার ৫৫৯ জনের বিপরীতে ১জন, নগরঘাটা ইউনিয়নে ১৮ হাজার ২৫৮ জনের বিপরীতে ১জন ও সরুলিয়া ইউনিয়নে ৩৬ হাজার ৯৬৫ জনের মধ্যে ২জন কোভিড-১৯ করোনা রোগির সন্ধান মিলেছে। ফলে এসব এলাকাকে ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র প্রেরণ করেছেন। এছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলা ও অন্যান্য সকল ইউনিয়ন গ্রিন জোন হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন রাতে আরও জানান, নির্দেশ পেলেই রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলো লকডাউন করা হবে। ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলো সীমিত আকারে চলাচল ও দোকানপাট খোলা থাকবে। এছাড়া রেড ও ইয়েলো জোনের বাইরে গ্রিন জোনগুলো স্বাভাবিক থাকবে। তবে প্রতিটি স্থানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, প্রত্যেকের মাস্ক ব্যবহার অপরিহার্য থাকবে। তবে রাতে সিভিল সার্জন অফিসের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, পৌরসভার জনবসতি যেটি দেখানো হয়েছে, সেটি সঠিক নয়। যে কারণে আজ (বৃহস্পতিবার) অফিসে বসে ফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …