মসিয়ার রহমান,বেনাপোল।ভারতে লকডাউন থাকায় ভারতের পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দরের সাথে স্থলপথে দীর্ঘ তিন মাস ধরে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানি বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হয়েছে।
এতে সরকাররেও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সড়ক পথে ৩৯ ট্রাক কাঁচামাল বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে। এসব আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, ডালিম, পান পাতা ও মাছ।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা নাসিদুল হক জানান, প্রায় তিন মাস পর স্থলপথে ভারত থেকে ৩৯ ট্রাক খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে। তবে খুব দ্রুত আগের মতোই আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক হবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনে স্থলপথে ভারত থেকে এসব কাঁচামাল আমদানি বন্ধ ছিল। করোনার ভয়ে সড়ক পথে পণ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। পরে কয়েক দফা বৈঠকের পর স্বল্প পরিসরে রেলপথে কিছু কাঁচামাল দিতে রাজি হয়।এতে বড় ব্যবসায়ীদের সুবিধা হলেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লোকসান হচ্ছিল। অবশেষে স্থলপথে পুনরায় কাঁচামাল আমদানি শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সবার মধ্যে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ধীরে ধীরে বন্দরে আমদানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হচ্ছে। স্থলপথে কাঁচামাল আমদানি শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।দ্রুত যাতে তারা পণ্য খালাস নিতে পারেন তার জন্য সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য করোনার কারণে গত ২২ র্মাচ থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে লকডাউন শিথিত হলে গত ০৭ জুন সড়ক পথে সাধারণ পণ্যের আমদানি শুরু হলেও খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্যের আমদানি বন্ধ ছিল।