ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় দুজন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন স্কুলছাত্রসহ নতুন করে পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ১০৫ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রতিবেদন করোনা ‘পজিটিভ’ এল।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার সরকার বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে আজ মঙ্গলবার পাঠানো পরীক্ষার প্রতিবেদনের মধ্যে ওই পাঁচজনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সাতক্ষীরা শহরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী (৪০), সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বৈকারী ইউনিয়নের স্কুলছাত্র (১৫), শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী (৫২), একই ইউনিয়নের গাড়িচালক (২৯) এবং শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী (৩৭)। এই পাঁচজনের বাড়িসহ তাঁরা যাদের সঙ্গে চলাফেরা করেছেন, সবার বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান লকডাউনের প্রক্রিয়া চলছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, সাতক্ষীরা জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা আইইসিডিআর ও খুলনা মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১৯৮ জনের প্রতিবেদন এসেছে। তার মধ্যে ১০৫ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
এদিকে গত দুদিনে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, গত রোববার দুপুরে দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের আহাদ আলী (৩২) এবং গতকাল সোমবার বিভিন্ন সময়ে কলারোয়া উপজেলার গোয়ালচাতর গ্রামের গোলাম রব্বানী (৪২), তালা উপজেলার শাকদাহ গ্রামের ইউনুস আলী (৪২) ও কালীগঞ্জ উপজেলার তারালি তেঁতুলিয়া গ্রামের স্কুলছাত্র শরীফ (১৩) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। প্রত্যেকেই জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন।
জেলায় এ পর্যন্ত ২০জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। সব কটিই করোনা ‘নেগেটিভ’ এসেছে।