প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা এবং ওনাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেয়া ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর রোগ মুক্তিতে সহায়ক হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের চিকিৎসক ডা. মুহিবুল্লাহ খোন্দকার। তিনি বলেন, ভাই (ডা. জাফরুল্লাহ) আমাদের বলেছেন, দুই নেত্রী তার খোঁজ খবর নেয়ায় ওনি মানসিক শক্তিও পেয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন চিকিৎসকরা ওনার খোঁজ খবর নিয়েছেন। এছাড়া এই দেশের অগণিত মানুষ আমাদেরকে ফোন দিয়ে ওনার স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গেরিলা কমান্ডার মেজর এটিএম হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা সংক্রমণ থেকে রোগ মুক্তিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং তার চিকিৎসা ব্যয় সর্ম্পকে আয়োজিত এক আলোচনা সভার শুরুর বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গণস্বাস্থ্যের আরেক চিকিৎসক ডা. মামুন মোস্তাফি বলেন, ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বুকের প্রায় ৮০ ভাগ অংশ নিমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গেছে। এটার কারণেই যতো ধরণের সমস্যা হয়েছে। এরমধ্যে ওনার রক্তক্ষরণ হয়েছে, হৃদক্রিয়ায় সমস্যা হয়েছে। তিনি সব সময় সবার কথা শুনেন না।
ওনার নিজস্ব একটা থিওরি আছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, দেশের একটা শ্রমিক, খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ যে ওষুধটা কিনতে পারবে না সে ওষুধ তিনি তার চিকিৎসায় ব্যবহার করেননি।
তিনি আরও বলেন, আপনার শুনে অবাক হবেন, করোনা ডায়ালাইসিস করতে সিটিস্ক্যান ছাড়া কেউ সেটা করেন না। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওনার ডায়ালাইসিস করতে সিটি স্ক্যান করতে পারিনি। কারণ ওনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই আমাদের বলেছেন, দেশের সাধারণ মানুষ কি সিটিস্ক্যান করতে পারবে? টাকার জন্য যদি সাধারণ মানুষ সিটি স্ক্যান করতে না পারে তাহলে আমার জন্যেও এই টাকার খরচ করার দরকার নাই। ওনার চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও তিনি সেখানে ভর্তি হওয়ার জন্য রাজি হননি। তিনি শুধু একটা কথাই বলেছেন, মরলে আমি এখানেই মরবো। সত্যি কথা বলতে কি, আল্লাহর রহমত এবং ওনার যে মানসিক শক্তি এই রোগ সেরে ওঠতে সেটা অনেকটাই কাজে দিয়েছে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আরেক চিকিৎসক ডা. নাজিব রাজাক বলেন, ওনার ফুসফুসে একসাথে দুইটা নিউমোনিয়া ছিল। একটা ছিল করোনা ভাইরাসের নিউমোনিয়া, আরেকটা ছিল ব্যাকটেরিয়াস নিউমোনিয়া। একটার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে কিন্তু ব্যাকটেরিয়া নিউমোনিয়াটা নিয়ে এখনো শঙ্কা রয়েছে। তিনি এখানে বসে আছেন। তাকে দেখতো পুরোপুরি সুস্থ মনেহলেও তিনি শতভাগ রোগমুক্ত নন।