ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথকভাবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে খাদ্য সরকারি প্রজেক্টের (কাবিখা) অবৈধভাবে পাচারকৃত প্রায় ৩৯ হাজার ৩ ‘শ’ কেজি অবৈধ গম (খাদ্যশস্য) উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় সদর উপজেলার আলীপুর আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সামনে ৩২৬ (তিনশত ছাব্বিশ) বস্তা গমসহ একটি ট্রাক ও বিকাল সাড়ে ৫ টায় পাটকেলঘাটার মুকুন্দ ফ্লাওয়ার এন্ড ডাল মিল হতে ৩২৯ বস্তা গম (খাদ্যশস্য) উদ্ধার করে। যার আনুমানিক মূল্য ১২ লক্ষ ১৮ হাজার ৩ ‘শ’ টাকা।
জেলা পুলিশের মে-ইলের মাধ্যমে একটি লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কালিগঞ্জ উপজেলার গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) দ্বিতীয় পর্যায়ের ৯টি প্রকল্পের গম (খাদ্যশস্য) প্রকল্প সংশ্লিষ্ট স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ মিরাজ হোসেন, কালিগঞ্জ উপজেলা ও গম ক্রেতাদের পরষ্পর যোগসাজসে অবৈধভাবে আত্মসাৎ করতে পাচার করে।
এ ঘটনায় পরষ্পর যোগসাজসে জাল জালিয়াতি, প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে সরকারি প্রজেক্টের গম (খাদ্য শস্য) আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা এলাকার মৃত কামরুল হুদার ছেলে আব্দুল খালেক ওরফে ঘোরামী খালেক (৫০), একই উপজেলার নবীনগর এলাকার মৃত জবের আলীর ছেলে আব্দুল গনি (৬০), তেতুলিয়া এলাকার মৃত ছুরমান আলী গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৫০), সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার মৃত বাহের সরদারের ছেলে লিয়াকত আলী (৪০) কে অঅটক করা হয়।
তবে ঘটনাটি দূনীতি দমন কমিশনের তফশীলভুক্ত হওয়ায় আসামীদেরকে সাতক্ষীরা সদর থানার সাধারণ ডায়েরী নং-১৬৪৫ তারিখ-২৬/০৬/২০২০খ্রিঃ ধারা-ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ৫৪ মোতাবেক গ্রেফতার করা হয়েছে। দূনীতি দমন কমিশন(দুদক), সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা), খুলনা (সাতক্ষীরা) পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে, আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে।
তবে, সম্প্রতি সে প্রভাবশালী হওয়ায় সেসব কর্মকান্ড ধামাচাঁপা পড়ে যায়। নলতার আলোচিত আব্দুল খালেক পেশায় ছিল ঘরের চাল ছাউনির ঘোরামী। এখন কোটি টাকার বনে গেছে সে। আটকের পর তার বিরুদ্ধে বহু দুর্নীতির তথ্য ছড়াছড়ি হতে থাকে এলাকায়। দরিদ্রদের সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি, রেশন কার্ডের চাউল পাচার, থানায় তদবীর সহ বিভিন্ন অবৈধ বানিজ্যে জড়িয়ে ছিল আব্দুল খালেক ওরফে ঘোরামী খালেক।