তারা হলেন- সাতক্ষীরার হরদহ এলাকার মো. লুৎফরের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৪), আশাশুনি উপজেলার বসুখালীর মৃত জামাত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (২৪) ও অজ্ঞাত একজন (২৫)।
এসময় আরও দুই দস্যু ও দুই জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে র্যাব বলছে, তাদের কাছ থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৩ রাউণ্ড গুলি, দেশি অস্ত্র, দস্যুতায় ব্যবহার্য অন্যান্য মালামাল ও ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার খুলনার র্যাব ৬ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৫ জুন রাত থেকে ২৮ জুন ভোর পর্যন্ত সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মামদো নদী, মালঞ্চ নদী, খোপড়াখালী নদী ও ফিরিঙ্গি নদী এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘সুন্দরবনে নতুন করে দস্যুতায় নামার চেষ্টা করলে তাদের পরিনতি এ রকম হবে। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারির হাত থেকে কেউ পার পাবেনা।’
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, র্যাব-৬ অধিনায়ক লেফট্যানান্ট কর্নেল রওসানুল ফিরোজসহ অন্যন্যা কর্মকর্তারা প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
তবে অভিযানের বিষয়ে কথা বলার জন্য বার বার চেষ্টা করেও র্যাব-৬ এর মুন্সিগঞ্জ অফিসের কোন বক্তব্য পাওযা যায়নি। র্যাব এর ডিজি খুলনা প্রেস কনফারেন্স করে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে বিশ্বস্থ একটি সুত্র নিশ্চিত করে।
এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র জানিয়েছে খান বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করে বাংলাদেশ এর অংশের জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করতো। অভিযানের আগেই তারা সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে বারতীয় সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করে বারতে চলে যেয়ে সেখানে অবস্থান করতো।
উল্লেখ্য সম্প্রতি পশ্চিম সুন্দরবনে খান ও বুলবুলসহ কয়েকটি ছোট ছোট বনদস্যু বাহিনী সক্রিয় হয়। গত ২০ জুন সুন্দরবনে মাছ শিকারে যাওয়া চার জেলেকে মক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে একটি বনদস্যু বাহিনী। ঐ ঘটনার পর র্যাব সদস্যরা গত শুক্রবার থেকে পশ্চিম সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে অভিযান পরিচালনা করছিল।