ক্রাইমর্বাতা রিপোট: ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর আরও বড় পরিসরে তৈরি করা হচ্ছে। দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলের আদলে সেখানে আন্তর্জাতিক মানের অবকাঠামো তৈরি হবে। একইসঙ্গে ভারতের সেভেন সিস্টারস রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর তৈরি হচ্ছে। এ দুটি স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন হলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সড়ক পথে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সম্প্রসারণ হবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ভোমরা ও রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়ন সমীক্ষা কার্যক্রমের ওপর গতকাল সোমবার আয়োজিত অনলাইন কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এ কর্মশালার আয়োজন করে। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রকল্প পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তা এরিক নোরা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব সৈয়দা মাসুমা খানম, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও উপপ্রকল্প পরিচালক হাসান আলীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্রকল্প পরামর্শক প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় বক্তারা বাংলাদেশে স্থলবন্দরের অবাকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি ভারতীয় অংশের স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, ভারতীয় অংশে উন্নয়ন না হলে একপক্ষের সব ধরনের প্রস্তুতি সত্ত্বেও অপর অংশে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি না থাকলে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে লাভ হবে না। পাশাপাশি বিদ্যমান শুল্ক ও অশুল্ক বাধাগুলোর বিষয়ও মাথায় রেখে সে আলোকে কাজ করার পরামর্শ উঠে আসে। কর্মশালায় জানানো হয়, ভোমরা স্থলবন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সুবিধাদি বাড়ানোর পাশাপাশি সেখানে আন্তর্জাতিকমানের যাত্রী টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। ফলে ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীরা আন্তর্জাতিকমানের সেবা পাবে।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …