ক্রাইমর্বাতা রিপোট : সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরা স্বর্ণ দোকানঘর ছাইমাটি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ
সম্পাদকের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যে ভাংচুরের নাটক
সাজিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কমিটির সহ-সভাপতিসহ চারজন
নির্বাহী সদস্য। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব
মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাতক্ষীরা স্বর্ণ দোকানঘর ছাইমাটি শ্রমিক
ইউনিয়নের সহ সভাপতি আব্দুল কালাম বেপারি বলেন, আমরা বিগত প্রায় ১৯ মাস
আগে সাতক্ষীরা স্বর্ণ দোকান ঘর ছাইমাটি শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন করি।
কিন্তু কমিটির সভাপতি আব্দুল হক বেপাারি ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন
বেপারি সংগঠন পরিচালনার নামে অর্থ আত্মসাত, ইচ্ছামত শ্রমিকদের কার্ড
বাতিল ও অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার মত কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তারা সংগঠনের কোন হিসাব দেয় না। হিসাব চাইলে
শ্রমিকদের মারপিট করতে উদ্যাত হয়। এই করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের পাশে
না দাড়িয়ে তাদের হক নষ্ট করে সভাপতি-সম্পাদক ইচ্ছামত সংগঠনের টাকা
আত্মসাত করে যাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়া হয়।
এছাড়া অন্য জেলা থেকে সাতক্ষীরা মাল কিনতে আসা বেপারিদের কাছ থেকে
জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে। যা সংগঠনের ফান্ডে জমা হয় না। যে কারনে
ক্যাশিয়ার বাধ্য হয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ পত্রও জমা দিয়েছেন।
সহ সভাপতি আব্দুল কালাম অভিযোগ করে বলেন, গত ২৮ জুন রাতে আমিসহ প্রচার
সম্পাদক মান্নান বেপারি, ক্যাশিয়ার রেজাউল ইসলাম বেপারি, সাংগঠনিক
সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন অফিসে গিয়ে সভাপতি আব্দুল হক ও ফারুক
হোসেনের কাছে সংগঠনের আয় ব্যয়ের হিসাব চাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা
আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে অফিস থেকে বের হয়ে
যেতে বলে এবং সংগঠনের বিষয়ে কথা বললে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ খুন
জখমের হুমকি দেয়। এসময় সেখানে টাকা ছিনতাই, ভাংচুর বা মারপিটের কোন ঘটনা
ঘটেনি। কিন্তু তারা ওই ঘটনাকে পুুঁজি করে আমাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে
হয়রানি করার জন্য সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যে তথ্য দিয়ে ৩০ জুন পত্রিকায়
একটি সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরো বলেন, আমরা জানতে পেরেছি সভাপতি আব্দুল হকের নেতৃত্বে প্রতিদিন
সংগঠনের অফিসে মাদক ও জুয়ার আড্ডা বসে। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন
অফিসটি কৌশলে ডিড করে নিয়েছেন। আমরা চাই সংগঠনটি সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে
শ্রমিকদের কল্যাণে পরিচালিত হোক। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের
অর্থ আত্মসাত করার পাশাপাশি নানা অপর্কম চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে সংগঠনের
অন্যান্য সদস্যরা কোন সুযোগ সুবিধা না পেয়ে নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি দুর্নীতিবাজ সভাপতি আব্দুল হক ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনের
বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …