ক্রাইমর্বাতা ডেস্করিপোট: হাসপাতালে কোনো শয্যা নেই। ভেন্টিলেটরেও কোনো বেড খালি নেই। তাই করোনা উপসর্গে আক্রান্ত রোগীকে একে একে ফিরিয়ে দিল শহরের ১৮টি হাসপাতাল। ঘটনা ভারতের বেঙ্গালুরুতে। ওই ১৮টি হাসপাতালের মধ্যে ৯টি বেসরকারি এবং ৯টি আরপিটি। প্রবল ধকল এবং নানা উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে অবশেষে মারা যান তিনি। ৫৭ বছরের ওই রোগীর শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো নানা উপসর্গ ছিল। ফলে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তারপরেই এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন তারা।
বেঙ্গালুরুর এই ঘটনায় হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে কর্ণাটকের স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বি শ্রীরামুলু বলেন, চিকিৎসা না করে মুমূর্ষ রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া শুধুমাত্র অমানবিকই নয়, বেআইনিও। তাই হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে আইনানুযায়ী। ট্যুইটে তিনি লেখেন, সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ৯টি হাসপাতালকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে অপরাধ প্রমাণিত হলে।
পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, বৃদ্ধের ছেলে এবং ভাজিতা শনি এবং রবিবার শহরের ১৮টি হাসপাতালে নিয়ে যান ওই বৃদ্ধকে। সব জায়গা থেকেই তাদের জানানো হয় হাসপাতালে কোনও শয্যা খালি নেই। ফলে রোগী ভর্তি নিতে পারবেন না। এমনকী, প্রাথমিক চিকিৎসা করতেও সব হাসপাতাল অস্বীকার করে বলেই অভিযোগ জানান তারা। এরপর রবিবার কার্যত বিনা চিকিৎসায় রবিবার রাতে মারা যান বৃদ্ধ।
ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই কর্ণাটকের স্বাস্থ্য দপ্তরের কমিশনার, কর্ণাটকের প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাস্ট্যাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৭-এর ভিত্তিতে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছেন হাসপাতালগুলোকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিসের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যথাযথ জবাব না দিতে পারলে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।