ক্রাইমর্বাতা রিপোট: করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের সুযোগে সুন্দরবনে হরিণ শিকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় বনরক্ষীদেরও টহলে কিছুটা গা ছাড়া ভাব রয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে বনের অভয়ারণ্য এলাকায় চোরা হরিণ শিকারীরা। তবে বন বিভাগের দাবি, অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলেদের ছদ্মবেশে সংরক্ষিত অভয়ারণ্য এলাকায় ঢুকে বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে গোশত বিক্রি করছে।
হরিণ শিকারীদের মদদ দাতারা একটু প্রভাবশালী হ্বার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, এভাবে হরিণ শিকার চলমান থাকলে সুন্দরবনের সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে যাবে। ‘গডফাদার’ যারা আছে প্রশাসনিকভাবে আইনের আওতায় এনে যদি তাদের বিচার করা হয়, তাহলে হরিণ শিকার বন্ধ হবে। তবে বনরক্ষীদের দাবি, শিকারীদের ধরতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে এবং গত দু’মাসে চোরা চক্রকে আটকের সফলতার কথা ব্যক্ত করেন। বন নিয়ে কাজ করা পরিবেশবিদদের দাবি, হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম জানান, বন বিভাগ এবং আইন কৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ তৎপরতায় কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, হরিণ শিকারীরা করোনা পরিস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বনে প্রবেশ করলেও বন বিভাগের টহল দল তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধের পর মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক হরিণ শিকার করা হয়েছে। শিকারীদের ফাঁদে আটকা পড়া ২২টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। শতাধিক কেজি হরিণের মাংস ও ১ হাজার ৯শ’ ৫০ ফুট বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬ জন শিকারীকে আটক করেছে বন বিভাগ।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …