ক্রাইমর্বাতা রিপোট: সিলেটে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা এম এ হক করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত ছিলেন। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে তাঁর নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন করোনা ‘পজিটিভ’ এসেছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনি গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুর এক দিন আগে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছিল। সিলেট ও গ্রামের বাড়িতে দুটো জানাজা শেষে লাশ গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে দাফন করা হয়। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর তাঁর নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
ওসমানী হাসপাতালের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে নমুনায় পরীক্ষায় গতকাল রাতে ৫৩ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ আসে। এর মধ্যে এম এ হকের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনটিও রয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা এম এ হক (৬৯) গতকাল নগরীর নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ৩০ জুন তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। এক দিন পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন পরিচিত মুখ ছিলেন এম এ হক। সর্বশেষ তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) পদে দায়িত্ব পালন করেন।
সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট এলাকায় বসবাস করতেন এম এ হক। গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওনাবাজার ইউনিয়নের কলুমা এলাকায়।