ক্রাইমর্বাতা রিপোট : সিলেটে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বিজিবির পক্ষ থেকে সমন্বিত বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। সম্প্রতি একাধিক সীমান্ত হত্যার ঘটনার পর বিজিবির ৪৮ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আহমেদ ইউসুফ জামিল, পিএসসি’র পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়।
গত ২৩ শে মে থেকে এ পর্যন্ত সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ এবং জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় গরু ও সুপারি চোরাচালান, আনারস, কাঁঠাল চুরি সহ নানা কারণে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে যাতায়াত বেড়েছে। এ কারনে গত ৩ মাসে ভারতীয় খাসিয়া ও বিএসএফের গুলিতে সীমান্তবর্তী এলাকার ৪ জন বাসিন্দাকে হত্যা ও ৮ জনকে আহত করা হয়েছে। আহত ও নিহতরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।
এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধকল্পে বিজিবি’র আভিযানিক দায়িত্ব, জনসচেতনতামূলক কর্মকান্ড এবং টহলদারী ছাড়াও কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদেরকে সম্পৃক্ত করে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ, সীমান্ত হত্যার ব্যাপারে বিএসএফকে নিন্দামূলক প্রতিবাদলিপি প্রেরণসহ হত্যাকারী খাসিয়া নাগরিকদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি এবং সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে তাদেরকে স্বাবলম্বী করতে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধিসহ এনজিও সমূহকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৪৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আহমেদ ইউসুফ জামিল, পিএসসি জানিয়েছেন- মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দা ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হ্রাসের ফলে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ কর্মহীন ও অসহায় হয়ে পড়েছে। আগামীতেও তাদের অর্থনেতিক অবস্থা আরো ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
এ কারনেই সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত রাখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে করে সীমান্তে হতাহতের ঘটনা কমে আসবে বলে জানান তিনি।