ক্রাইমর্বাতা রিপোট: সাতক্ষীরা টাউন গার্লস স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী ইভা অপহরণ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পিতা মতলেব গাজী। তিনি লিখিত অভিযোগে জানান,
বরাবর,
অফিসার ইনচার্জ, সাতক্ষীরা থানা,সাতক্ষীরা
বিষয় : অভিযোগ
জনাব
যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি মতলেব গাজী (৪৫),পিতা- মোহাম্মদ আলী গাজী, সাং-গাবুরা, থানা- শ্যামনগর, জেলা-সাতক্ষীরা, এ/পি সাং-কাটিয়া লস্করপাড়া(আছুম এর বাড়ির ভাড়াটিয়া),থানা ও জেলা সাতক্ষীরা অদ্য থানায় হাজির হইয়া আসামী -১।ফিরোজ হোসেন(৩৫),পিতা-আঃ আজিজ সাং- গুনাগারকাটি,থানা আশাশুনি,জেলা সাতক্ষীরা এ/পি সাং- কাটিয়া লস্করপাড়া (আছুম এর বাড়ির ভাড়াটিয়া) থানা ও জেলা সাতক্ষীরা, ২।শাহাজাহান (৪৫),পিতা অগ্যাত, এ/পি সাং- কাটিয়া লস্করপাড়া ( আছুম এর বাড়ির ভাড়াটিয়া),থানা ও জেলা সাতক্ষীরাদে বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, আসামীদের স্বভাব চিরিত্র ভালো না।আসামীরা নারী লোভী লম্পট প্রকৃতির। আমার মেয়ে ইভা (১৩), সে সাতক্ষীরা টাউন গার্লস স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে।সে স্কুলে যাওয়া আসার পথে ০১ নং আসামী আমার কন্যাকে বিরক্ত করিতো।প্রেমের প্রস্তাব দিতো।আমার মেয়ে রাজি না হওয়ায় আমার কন্যাকে অপহরণের ষড়যন্ত্র করিতে থাকে।তাছাড়া আমরা একই বাড়িতে ভাড়া থাকি। আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবে ০১ আসামীকে নিষেধ করিলে ০২ আসামীর সহায়তায় সে আমার কন্যাকে অপহরণের ষড়যন্ত্র করিতে থাকে। আমি ও আমার স্ত্রী দেবরের বিয়েতে গ্রামের বাড়িতে থাকাকালে সেই সুবাদে ইং-০৪/০৭/২০২০ তারিখ বেলা অনুমান ১২.০০ টার দিকে ০১,০২ নং আসামী আমার কন্যাকে জোর করে মোটর সাইকেলে উঠাইয়া আমার কন্যার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপহরণ করে নিয়ে কোন অগ্যাত স্থানে আটক রাখিয়াছে। ০১ নং আসামী বিবাহ বা অন্য কোন অসৎ উদ্দেশ্যে আমার কন্যাকে আটক রাখিয়াছে বা ভারতে পাচার করিতে পারে। তাছাড়া তাকে ব্যাপক নির্যাতন করিতেছে।ঘটনার বিষয় আমার বাড়ীর আশপাশের লোকজন বিষয়টি দেখিয়া আমাকে অবগত করে।পরবর্তীতে আমি বাসায় আসিয়া আসামী কর্তৃক আমার মেয়ের উদ্ধার কাজে ব্যাস্ত থাকায় মেয়েকে উদ্ধার করিতে না পারিয়া থানায় আসিয়া এই অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
অতএব, উক্ত বিষয়ে অতি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে জনাবের মর্জি হয়।
মতলেব গাজী
০১৭১৮৩২৭০৬১