ক্রাইমর্বাতা রিপোট : পঁচিশ বছর আগে কোন এক দিন কালিগঞ্জ উপজেলার পাইকাড়া গ্রামে মরহুম আলহাজ্ব এজাহার হোসেন এবং মরহুমা জোহরা খাতুনের কোল জুড়ে এক শিশু জন্ম গ্রহন করে সময়ের ব্যবধানে সেই শিশুর আলো ত্যাগ, তিতিক্ষা মানবতা আর সৃষ্টিশীলতা সর্বপরি মহান সাধক, সমাজ সংস্কারক নলতার পীর খ্যাত হযরত খানবাহাদুর আহছান উল্ল্যা (র:) এর মানবীয় সব সৃষ্টিকে এগিয়ে নিয়ে এক মহীরূহে পরিনত হয়েছেন পাইকাড়া গ্রামের সেই শিশু সূর্য অস্তমিত হয়েছে, চলে গেলেন পরপারে, অনন্তলোকে রেখে গেছেন অগনিত সব সৃষ্টি আর পীর কেবলার ভক্ত মুরিদ সহ মানবীয় সব গুনাবলীর অবয়ব, তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় খাদেম, নলতা পাক রওজা শরীফের খাদেম, দরবার শরীফের অতন্ত্রপ্রহরী, আলহাজ্ব মৌলভী আনছার উদ্দীন আহমদ, অদম্য সৃষ্টিশীল অতি মানবীয়, খাদেম সাহেব একদিনেই সর্বজন শ্রদ্ধা খাদেম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন নি, ছোট ছোট বালুকনার বিন্দু বিন্দু জল এর সেই মহাবাক্য মানব প্রেমিক খাদেম সাহেবের জন্য বিশেষ প্রযোজ্য, অতিথিপরায়নতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দরবার শরীফের প্রতিটি পরতে পরতে, নলতা শরীফের সুবিশাল কমপ্লেক্স এর ছোয়ায় প্রিয় খাদেম সাহেব, ঝড়, ঝঞ্ছা, সমালোচনা, বাঁধা, প্রতিপক্ষ, বদ ধার্মিকতা বা কোন অশুভ শক্তি কখনও রুখতে পারেনি হযরত খানবাহাদুর আহছান উল্ল্যা (র:) এর একান্ত সহচর এবং পাক রওজা শরীফের খাদেম শ্রদ্ধেয় আনছার উদ্দীন আহমদকে। বিংশ শতাব্দীর মহান শিক্ষক, জ্ঞানতাপস, সমাজসংস্কারক, মানবতার প্রতিক হযরত খান বাহাদুর আহছান উল্ল্যা (র:) এর জীবন দশায় উনিশশত ষাট সালের আগে বা পরের কোন একদিনে খাদেম সাহেব সান্নিধ্য লাভ করে। পীর কেবলার ইন্তেকালের পর উনিশশত পয়ষট্টি সাল হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত মাজার শরীফ হতে শুরু করে বর্তমান রওজা শরীফ সংলগ্ন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গেস্ট হাউস, হাসপাতাল, কলেজ কিন্টার গার্ডেন সহ সব সৃষ্টির অন্যতম অদম্য কান্ডারী মরহুম খাদেম আনছার উদ্দীন আহমদ, আধুনিক শিক্ষায় নয় অধ্যাত্মিক শিক্ষায় শিক্ষিত বুজুর্গ জ্ঞানী, ত্যাগী নির্লোভ এই মানব পীর কেবলার প্রতি অসম্ভব ধরনের মহব্বত আর প্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। দীর্ঘ জীবনের প্রতি মুহুর্তে পাক রওজা শরীফে অবস্থান করেছেন। মানবতার অতন্ত্রী সেবক হিসেবে, পীর কেবলার মাজারে আগতদের দোয়া, তাবিজ দিয়েছেন, আগতদের অনুরোধ, অনুযোগ ছিল শ্রদ্ধেয় খাদেম সাহেবের দোয়া, ফু, হ্যাঁ দোয়া আর ফু কে অন্তর ছোয়া হৃদয় ব্যাকুল করা, পীর কেবলার মাজারে প্রতিদিনই অগনিত ভক্ত, আশেকান, মুরীদদের উপস্থিতি সকলের প্রতি কি দারুন খেয়াল, অনুভব শক্তির মহাসাগর এবং আথিথেয়তার দুর্দান্ত প্রতিমুখ। মঙ্গলবার অপরাহেৃ যখন এই ত্যাগী মানবতার প্রতীকের মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়ে তখন সেকি ব্যাকুলতা, শোক আর কান্নার মহা ক্ষেত্র। পীর কেবলার আহছানিয়া মিশন এর শ্রীবৃদ্ধি কলেরব বৃদ্ধি ঘটানোর প্রানন্তকর প্রচেষ্টা, নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধান, সর্বত্র ছিল তার সম্মোহনী শক্তি, মতবিরোধ, অনৈক্য সমালোচনা, অচলবস্থা বিভাদ, বিরোধ সিদ্ধান্তহীনতা এমন ঘনঘটা যেখানে সেখানে সর্বজন শ্রদ্ধেয় খাদেম সাহেবের উপস্থিতি, অংশ গ্রহন অবস্থান ঐক্যের আর সমাধানের সুবাতাস প্রবাহীত হয়েছে। এক জন মানুষ কতগুনে গুনান্বীত হতে পারে, মানবতায়, দক্ষতায়, বিচক্ষনতায়, সৃষ্টিতে, কিংবদন্তী হতে পারে প্রয়াত শ্রদ্ধানেষ খাদেম আলহাজ্ব মৌলভী আনছার উদ্দীন আহমেদ তার উদহারন। আস্থা, বিশ্বাস, ভক্তির অজয়ধারা খাদেম সাহেব পীর কেবলার আহছানিয়া মিশনকে শক্তিশালী করেছে। সৃষ্টিশীল করছে, স্রষ্টার এবাদত আর সৃষ্টির সেবার মহানব্রতকে আকড়ে ধরেছে আর তাই দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে আহছানিয়া মিশনের কর্মযজ্ঞ, ছয় ভাই আর পাঁচ বোনই কেবল তার ভাই বোন নয় দরবার শরীফের সকল ভক্ত, দর্শনার্থীরা ছিলেন ভাই, বোন আত্মার আত্মীয়, মরহুম খাদেম আলহাজ্ব আনছার উদ্দীন বারবার আসবেন না। পীর কেবলার মাজার শরীফের খাদেম, মানবতার খাদেম, অনাবিল সৃষ্টির উৎস্য অনন্তলোকে চলে যাওয়া আলোঘর। কর্মবীর মানব সন্তান আলহাজ্ব মৌলভী আনছার উদ্দীনের জন্য আমাদের শোকগাঁথা রুহের মাগফিরাত কামনা।
Check Also
তালায় ইউপি পরিষদ কক্ষে দুই সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন
তালা প্রতিনিধি তালার ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদে সাংবাদিক আক্তারুল ইসলাম ও আতাউর রহমানের ওপর সন্ত্রাসী রমজান আলী …