ক্রাইমর্বাতা রিপোট: সাতক্ষীরা সাতক্ষীরায় নতুন করো আরো ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় রাজনৈতিক ব্যক্তি, ডাক্তার,পুলিশ,সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার ৪৪৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছে। ইত্যোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫৮ জন। নতুন করে আরো ২৪ সহ জেলায় কেরানা আক্রান্তেরর সংখ্যা সাড়ে চারশ ছাড়িয়েছে।
যবিপ্রবির ল্যাবে আজকে ৯৩ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে আজ ১৬ জুলাই, ২০২০ খ্রি. তারিখে ঘোষিত করোনার টেস্টের ফলাফলে যশোরের ১৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৮ জনের, মাগুরার ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জনের ও সাতক্ষীরার ৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৪ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ যবিপ্রবির ল্যাবে মোট ২৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯৩ জনের করোনা পজিটিভ এবং ২০২ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ড. শিরিন নিগার, পরীক্ষণ দলের সদস্য ও চেয়ারম্যান, এনএফটি বিভাগ।
এর আগে গতকাল পর্যন্ত সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত ২৯৬৯ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। ২০৯৩ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। সাতক্ষীরা জেলায় এখন পর্যন্ত ৪২২ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬৮ জন সুস্থ হয়েছেন, ১০ জন মারা গেছেন, ২২৪ জন নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন এবং ২২ জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেসনে আছেন। জেলায় মোট ২৪৬ জন আইসোলেসনে আছেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলাব্যাপী সচেতনতামূলক মোবাইল কোর্ট অব্যাহত আছে।
সর্বশেষ গতকাল ৩ টি অভিযানে ৫ টি মামলায় ৩৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত ৪১০০ টিরও অধিক মামলায় ৪৫ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
করোনা পজেটিভ হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কলেজের উপাধ্যক্ষ ও করোনা উপসর্গ নিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বৃহষ্পতিবার ভোর ৫টায় ও সকাল নয়টার দিকে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মানস কুমার মণ্ডল জানান, গত ৬ জুলাই নমুনা দেওয়ার পরদিন জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি হন সদর উপজেলার বড়খামার গ্রামের গিয়াসউদ্দিনের ছেলে ও সাতক্ষীরা সুন্দরবন সাইন্স এণ্ড বিজনেজ কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান (৪৫)। ৯ জুলাই তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বৃহষ্পতিবার ভোর ৫টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
অপরদিকে তালা উপজেলার সুভাষিনী গ্রামের ছত্রনাথ দাসের ছেলে সুভাষ চন্দ্র দাস (৬৫) জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার বিকেলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন। বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর তান নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্ব স্ব ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে তাদের লাশ সৎকারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তার বাড়ি লক ডাউন করার প্রস্তুতি চলছে।