যবিপ্রবির ল্যাবে আজকে সাতক্ষীরায় নতুন করে আরো ৪ জনসহ জেলায় মোট ৪৭২ জন করোনায় আক্রান্ত

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ    সাতক্ষীরাঃ গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে  ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত ৪৭২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে উক্ত ১৯ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গতকাল পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৩ হাজার ১৬১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ২ হাজার ২২৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ৪৬৮ জন করোনা পজিটিভ ও বাকীদের সব নেগোটভ রিপোর্ট এসেছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করে লাল পতাকা টানানো হয়েছে

যবিপ্রবির ল্যাবে আজকে ৯৯ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে আজ ১৮ জুলাই, ২০২০ খ্রি. তারিখে ঘোষিত করোনার টেস্টের ফলাফলে
যশোরের ২৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৮ জনের,
মাগুরার ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জনের, বাগেরহাটের ৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জনের

সাতক্ষীরার ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪ জনের
নমুনাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে।
অর্থাৎ যবিপ্রবির ল্যাবে মোট ৩৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯৯ জনের করোনা পজিটিভ এবং ২৮৭ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন
ড. শিরিন নিগার, পরীক্ষণ দলের সদস্য ও চেয়ারম্যান, এনএফটি বিভাগ।

এদিকে  করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবসর প্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টার মধ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে তারা মারা যান।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের মৃত মহিবুর রহমানের ছেলে কৃষক বেলাল হোসেন (৫৫), শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে অবসর প্রাপ্ত অগ্রনী ব্যাংক ম্যানেজার গোলাম ইছাহাক (৯০) ও শহরের মুন্সিপাড়ার গহর আলীর ছেলে ইব্রাহীম হোসেন (৬০)।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গত ১২ জুলাই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন কৃষক বেলাল হোসেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর চারটার দিকে যান তিনি মারা যান। এর আগে গত ১৩ জুলাই তার নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলেও রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
এদিকে, গত ১৫ জুলাই জ¦র ও শ^াস কষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন অবসর প্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম ইছাহাক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তিনিও মারা যান। গত ১৬ জুলাই তারও নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলেও রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি হন শহরের মুন্সিপাড়ার ইব্রাহীম হোসেন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মারা যাওয়ার পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে তাদের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
এনিয়ে সাতক্ষীরায় করেনার উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ৩২ জন। আর জেলায় আজ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ১০ জন।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।