মোঃ রুহুল আমিন( চৌগাছা) যশোর,প্রতিনিধিঃ
যশোরের চৌগাছার পশু হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।পাশাপাশি ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করে কম টাকার রশিদ দেওয়াহচ্ছে। ফলে কোরবানির পশু কিনতে গিয়ে মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে।এদিকে উপরজলার একমাত্র পশু হাটে টাঙনো হয়নি খাজনা আদায়ের মূল্য তালিকা।উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ বছরে খাজনা আদায়ের জন্য সরকারকোনো নির্দেশনা পত্র আমাদের কাছে দেয়নি। তবে বিগত বছরে হাট অনুযায়ি পশুরক্রয় মূল্যের ৫ থেকে ৭ ভাগ খাজনা আদায়ের নির্দেশনা ছিল।অফিসের অন্য একটি সূত্র বলেছে সরকার নির্ধারিত খাজনা গরু-মহিষের ক্ষেত্রে২৫০ টাকা, ছাগল-ভেড়ার ক্ষেত্রে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এদিকে পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে, গত প্রায় তিন মাস আগে এ হাটের ইজারারমেয়াদ শেষ হয়েছে। হাট এখন পৌরসভার তত্ত্বাবধানে খাসভাবে পরিচালিত হচ্ছে।মূলত পৌরসভার নামে বেওয়ারিশ এই পশু হাট পূর্বের মালিকগণই মোটার অঙ্কেরউৎকোচের বিনিময়ে পরিচালনা করছেন। যে কারনে ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছামতখাজনা আদায় করেছন তারা। গতকাল বুধবার হাটে ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের কাছে অতিরিক্ত খাজনা আদায়েরপাশাপাশি বিক্রেতাদের কাছ থেকেও অবৈধভাবে খাজনা নেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকআজিজুর রহমান জানান, আমি ৩০ হাজার টাকা দিয়ে দু’টি ছাগল ক্রয় করেছি। আমারকাছে ৩ হাজার টাকা খাজনা দাবি করেন। সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা দু’টিছাগলের জন্য ৬’শ টাকা নিয়ে ৩’শ টাকার রশিদ দেন।একজন গরু ক্রেতা বলেন, আমি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু ক্রয় করেছি আমারকাছে ৭ হাজার টাকা খাজনা আদায় করেছেন। এভাবে আরো কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন,এই হাটে খাজনা আদায়ের জন্য কোনো মূল্য তালিকা না থকার কারনে আদায়কারিরাতাদের ইচ্ছামম খাজনা আদায় করছেন।ক্রেতারা জানান, হাটে খাজনা আদায়ের মূল্য তালিকা থাকলে ইজাদারেরাঅতিরিক্ত টাকা নিতে পারবেন না। তাই ইজাদারেরা মূল্য তালিকা লাগান না।বিষয়টি পৌর প্রশাসনকে অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।পৌর মেয়র নূরউদ্দীন আল মামুন হিমেল বলেন, সরকারি নির্দেশনার চেয়ে অনেক কমখাজনা আদায় করা হচ্ছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী ইনামুল হক বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায়রাখার ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। পশুহাটে খাজনা আদায়ের ব্যাপারেসরকার কোনো নির্দেশনা দেয়নি।