রুহুল কুদ্দুস,ক্রাইমর্বাতা রিপোট: আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের হিজলিয়া ভেড়ী বাঁধ আবারও ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্লাবনের শিকার হয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।
প্রতাপনগর ইউনিয়নের শ্রীউলা পাড়ের হিজলিয়া গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ী বাঁধে শুক্রুবার দুপুরে জোয়ারের পানির চাপে ভাঙ্গন শুরু হয়। এবং মুহুর্তের মধ্যে বাঁধের ২০/২৫ হাত এলাকা পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। নদীর পানির স্রােতে এলাকা একাকার হতে শুরু করে। পানির চাপে হিজলিয়াসহ পাশের এলাকা এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকা একাকার হয়ে য়ায়। খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ৬৩ দিন পানি বন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় লক্ষাধীক মানুষ।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ ইউনিটের সদস্যরা কাজ করলেও এখনো বেড়িবাঁধ মেরামত হয়নি। একজায়গায় বাঁধলে অন্য জায়গায় ঢুষে যাচ্ছে।
বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় আশাশুনিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে
পানির চাপে হিজলিয়াসহ পাশের এলাকা এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকা একাকার হয়ে যেতে পারে। প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন ও শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল ভাঙ্গন এলাকা ও ভাঙ্গনের শিকার ভেড়ী বাঁধ দেখতে সাথে সাথে হিজলিয়া এলাকায় গমন করেন।
চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন জানান, ভাঙ্গন শুরুর সাথে সাথে আমি ও শ্রীউলা চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছি। কিভাবে ভাঙ্গন রোধ করা যায় তা নিয়ে পরামর্শ করেছি। আমরা ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের দুর্দশা লাঘবে বিরামহীন চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সরকারি ভাবে টেকসই বাঁধের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করা সম্ভব হবে। যতক্ষণ সরকারি কাজ শুরু না হয় ততক্ষণ আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের ক্ষমতা মত কাজ করে যেতে চাই।