আবু সাইদ বিশ্বাস: সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালি এলাকায় গড়ে উঠেছে তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের “সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড”। ৩৫ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা এই খামারে উৎপাদিত কাঁকড়া বিদেশে রফতানি হচ্ছে।”সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড”এর সুপারভাইজারের দায়িত্ব পালন করছেন তৌফিক রহমান। সাকিব আল হাসানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে ।
তৌফিক রহমান বলেন, “সুন্দরবন থেকে আমাদের ফার্মের জন্য কাঁকড়া সংগ্রহ করা হয়। আগামী শীতের তিনমাস কাঁকড়া পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি আরও দুইমাস সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকে। সব মিলিয়ে ছয়মাস বন্ধ থাকে। আর ছয়মাস পুরোদমে ব্যবসা চালু থাকে। চারবছর আগে এ প্রজেক্ট শুরু হলেও তিনবছর আগে থেকে ফার্মের কার্যক্রম চালু হয়েছিল।”
তৌফিক রহমান আরও বলেন, “এখানে সুন্দরবন থেকে আহরিত ৮০-১২০ গ্রাম ওজনের কাঁকড়া সংগ্রহ করা হয়। কাঁকড়াগুলো সুন্দরবনের নদীতে খোলস দেয় কিন্তু আমরা সফট কাঁকড়া পাই না। সেজন্য ফার্মের বক্সে সেগুলো আবার রাখা হয়। এখানে খোলস বদলের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো আমরা সংগ্রহ করে মাছ প্রসেসিংয়ের মতো করে প্রসেস করি। এরপর সেগুলো প্যাকেটজাত করে বিদেশে রফতানি করা হয়। অনেক দামে বিক্রি হয় এগুলো।”
ব্যবসায় কী পরিমাণ লাভ হচ্ছে এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, “ব্যবসায় লাভ-লস দু’টোই রয়েছে। এব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না। ৩৫ বিঘা জমির ওপর এই ফার্ম করলেও এখানে কখনো আসেননি সাকিব ভাই।”
“বেশ কয়েক বছর আগে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আমার ইউনিয়নের মধ্যে কাঁকড়ার এই ফার্ম গড়ে তোলেন। আমার এলাকার প্রায় ১০০ দিনমজুর সেখানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। সাকিবের কাঁকড়ার ফার্মের জন্য এখানে মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।।”