ক্রাইমর্বাতা ডেস্করিপোট: করোনাকালে অধিকতর ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠছেন বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের (ওকে)। ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন করে ২৬টি আলোকচিত্র আপলোড করেছেন তিনি। তার একক স্টাইলিশ ছবি ফেসবুকে দেয়ার মহরত হয়েছিল ২৪শে মার্চ। তাঁর ফেসবুক ঘেটে দেখা যায়, করোনাকালে মোট ১১ দফায় ১৬৬টি স্টাইলিশ ছবি আপলোড করেছেন তিনি। এর আগে তাঁর ঘড়ি ফ্যাশন নিয়ে কথা উঠেছিল।
তবে এবারে গত ২৪ ও ২৬শে জুলাইয়ের ২৬টি ছবির সঙ্গে তিনি বার্তা দিয়েছেন: ‘ করোনা ইজ ফার ফ্রম ওভার ২৪ জুলাই, ২০২০’। তার মানে তিনি জনগণকে শংকিত ও উদ্বিগ্ন হওয়ার বার্তা দিলেন। তার একবাক্যের ইংরেজি তর্জমা করলে দাঁড়ায়: করোনার বিদায় নিতে আরো দেরি।
কেউ বলছেন, মারণব্যাধি করোনায় প্রতিদিন যেখানে ৩০ থেকে ৪০ জন মারা যাচ্ছেন, সেই দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় মন্ত্রী কী করে করোনাকাল দীর্ঘায়িত হওয়ার বার্তা দেয়ার সঙ্গে ১৬টি ফ্যাশনেবল আলোকচিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারেন।
৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রথমে ১৬ টি ও পরে ১০টি ছবি নতুন করে আপলোড করা হয়েছে।
২৬শে জুলাইয়েও একই শিরোনাম: করোনাকাল যেতে আরো অনেক বাকি।
ফেসবুক মন্তব্যকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তবে সমালোচনার জোরটা বেশি। একটি অকাট্য প্রশ্ন: পাবলিক করা ছবিতে মাস্ক কেন পরা নেই? কিন্তু পর্যবেক্ষকরা যে প্রশ্ন বড় করে তুলেছেন, সেটা হলো তিনি তার এই বেশভূষার প্রদর্শনী কেন করছেন?
করোনা থেকে কিভাবে শক্তিশালী
জনৈক তাজউদ্দীন লিখেছেন, মাস্ক পরা নেই এটা একজন দায়িত্বশীল বিচক্ষণ সিনিয়র মন্ত্রীর কাছে আশা করিনি যদি আপনি আক্রান্ত হয়ে যান, আল্লাহ না করুক, তাহলে কি হবে ভেবে দেখেছেন। নিজে সচেতন হতে হবে, অন্যকে সচেতন করতে হবে ধন্যবাদ।
নুসরাত নুপুর সূক্ষ্ম রসিকতা করেছেন। তিনি লিখেছেন, স্যার ‘আমরা করোনা থেকে বেশি শক্তিশালী’। আপনি কোন টেনশন করবেন না। একদিন করোনা আমরা দূর করেই ছাড়ব’। স্যার, এসব কথা বললে আপনার মতো, কেউ আমাকে পাত্তা দেয় না, সবাই হেসে উড়িয়ে দিয়, তখনই খুব কষ্ট লাগে।’অর্নিতা চাকমা ট্রল করেছেন। লিখেছেন: ‘ চা খাবেন? ঢেলে দেই।’ একজন ট্রাম্পের একটি নৃত্যরত ট্রল ক্লিপ পোস্ট করেছেন, কোনো মন্তব্য ছাড়াই।
আহনাব হোসেনের মন্তব্য : রাজনীতির ক্যাবলাকান্ত। মুহাম্মদ রিয়াজ লিখেছেন: আমি শিহরিত। মোহাম্মদ একরামুল বাশারের মন্তব্য : বাঙ্গালি জাতির ভচ। সম্ভবত তিনি বানান ভুল করে থাকবেন। হয়তো বস বলতে চেয়েছেন। সাগর আহাম্মেদ বাবলু প্রশ্ন রেখেছেন: মাস্ক পরেন নাই কেন? মোহাম্মদ রশীদের মন্তব্য : আমরা আগে দেখতাম পোষ্টারে বাংলা নায়কের ছবি আর এখন দেখি শুধু রাজনীতির দলের লিডারদের ছবি। হাসানুজ্জামান শুভ : নানা মাস্ক কোই?
কেভিন কেভিন নামের একটি পোস্ট থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে:
Mr.Qader huge cardigan or west cort you have wear always each an every time when you upload your pic, I’m just wonder how you manage to buy all of this,is this our tax money?loser.
সায়েম উল হাসান আবির লিখেছেন : আপনারে আমার ভাল্লাগে না। ভাইবেন না আমি কারো এজেন্ট। আপনি যখন হঠাৎ হঠাৎ রেইড দেয়ার কান্ডগুলো দেখাতেন তখন খুব ভাল্লাগতো। এখন আর ভাল্লাগেনা আপনারে। আপনার কিছু কথার কারণে। করোনার চেয়ে আমরা কেমনে শক্তিশালী? বুঝান। আমি রাজনৈতিক কেউনা , আমারে সিম্পল ভাষায় বুঝান।
উল্লেখ্য, করোনাকালে মোট ১১ দফায় ১৬৬টি স্টাইলিশ আলোকচিত্র আপলোড হয়েছে ওবায়দুল কাদেরের। এরমধ্যে করোনা সংশ্লিষ্ট কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকার তেমন কোনো ছবি দেখা যায়নি। তাই পুরো করোনাকালে তার একক ওকে ফ্যাশনের আভিজাত্যই ফুটে উঠেছে।
২৪শে মার্চ ২০২০ করোনাকালে ওকে ফ্যাশনের যাত্রা শুরু ১৩টি ছবি দিয়ে। ১৪ই এপ্রিলে দেখা যায় ১৫টি।
লাইফ উইল নট বি দ্য সেম। জীবন আর কখনও আগের মতো হবে না। এই শিরোনামে তিনি সংসদ ভবনকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে ৯টি স্টাইলিশ ছবি পোস্ট দেন ২৬শে এপ্রিল। একই শিরোনামে আরো ১১ টি ছবি পোস্ট দিয়েছিলেন ২৪শে এপ্রিল, ২০২০। ১৪ই এপ্রিলে শুভ নববর্ষ টাইটেলে ১৫টি।
১লা মে তে ১৫টি স্টাইলিশ ছবি পোস্ট করেন। ১১ই মেতে ১১টি স্টাইলিশ ছবি আপলোড করে শিরোনাম দিয়েছিলেন: ওয়ার্স্ট ইজ ইয়েট টু কাম। সবথেকে খারাপ এখনও আসেনি। ২৪শে মে’র ৪১টি ছবির পরে ৭ই জুন সচিবালয়ে গিয়ে একইভাবে ২৪টি, ২১শে জুলাই ১টি, ২৪শে জুলাই ১৬টি ও ২৬শে জুলাই ১০টি।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, জাতির সবথেকে দুর্যোগের মধ্যে অব্যাহতভাবে ফ্যাশন প্রদর্শন প্রমাণ করে যে, তার চারপাশে যারা আছেন, তারা তাকে সঠিক পরামর্শ দিচ্ছেন না। কোনো বিচারেই এটা তার জন্য ভালো নয়। তাঁর দল আওয়ামী লীগের জন্য ভালো নয়। তাঁর রাজনৈতিক সতীর্থদের কাছে প্রীতিপদ হওয়ার নয়। সর্বোপরি মাস্ক না পরা এরকম ফ্যাশনেবল আলোকচিত্র কেন? এটা তো বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির জন্যও ভালো বলে গণ্য হওয়ার নয়। তাঁর শুভাকাঙ্খীরা মনে করেন, ফ্যাশন তো পাশ্চত্যের বিষয়। সেই দেশের কোনো মন্ত্রীও যদি এইমুহর্তে করোনা বিষয়ক কোনো খবরের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবিও পোস্ট করে তাহলে তা নিয়ে হৈচৈ পড়ে যেত।
অনেকেই বলছেন, কি বার্তা দিচ্ছেন তিনি? সবকিছু স্বাভাবিক, শান্তিপূর্ণ? বাংলাদেশে শুধু শান্তি আর শান্তি বইছে? ফৌজি শাসনে বাইরে থেকে সবকিছু ফিটফাট দেখানোর একটা কালচার গড়ে উঠেছিল। আমজনতাকে ম্যাজিক দেখিয়ে ভুলিয়ে রাখা।
লক্ষণীয় যে, তার ফেসবুকে কোনো ত্রাণ বিতরণ বা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কোনো আলোকচিত্র নেই। ফেবুতে মন্তব্যের ছড়াছড়ি। মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ভক্তরা প্রশংসার ফোয়ারা বইয়ে দিচ্ছেন। অন্যদিকে সমালোচকরা করছেন নিন্দা।
তবে গত তিন দিনে ২৪ হাজার লাইক পড়েছে। এটা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক রাজনৈতিক সেকেণ্ড ইন কমান্ডের জন্য অপ্রতুল। সুতরাং তার ফ্যাশন মানুষ সুনজরে দেখছে, তা বলা যাবে না।
‘শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়’
ওবায়দুল কাদেরের ফেসবুকে মুনসুর আহমেদ লিখেছেন, অসাধারণ। আপনার সংস্পর্শে এসে আমি যাহা দেখতে পেরেছি, আপনার মতো একজন সৎ ন্যায়পরায়ণ নির্ভীক মানুষ আমার চলার পথে আমি কোনো দিন পাইনি। মহান রাব্বুল-আলামিন আপনাকে সুস্থ ও দীর্ঘায়ু দান করুন -আমিন।
মোঃ রিফাত আহমেদ লিখেছেন, এই ধরনের ছবি দেখলে শরীর চাঙ্গা হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বেশি বেশি ঘুম হয়। বেশি বেশি বাঁচতে ইচ্ছে হয়। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস পাই। তাই এই ধরনের ছবি গুলো আপলোড করার জন্য অনুরোধ রইল।
মোঃ বাসের লিখেছেন, অসাধারণ কাদের ভাই। আপনার প্রত্যেকটা ছবি শিল্পীর তুলিতে আঁকা একেকটা কালজয়ী শিল্পকর্ম। লাভ ইউ কাদের ভাই।
মইনুদ্দিন রাহাত লিখেছেন, বাহ্ অসাধারণ – এরকম ফটো দেখলে শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয় ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
হাসানুর আর চৌধুরী লিখেছেন, স্যার আপনার নাম্বার দিবেন প্লিজ। আমি ছেলে বলে আমাকে এড়িয়ে যাবেন না। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আমার একটা চাকরি দরকার স্যার।
মেহেদি হাসান রাজ লিখেছেন, স্যার জুম্মাহ মোবারক। কোটি টা অনেক সুন্দর হইছে। কোথা থেকে কিনেছেন! স্যার আপনার হাসিটা অমায়িক। দুলাইন আপনার জন্য……
‘চশমা চোখে মিস্টি মুখে হাসি দিলেন বস কাদের,
তা দেখে হিংসেয় মৃত্যু হয় হিংসুক সূর্য আর চাঁদের।’’
ছগীর আহমেদ লিখেছেন, AC হাওয়ার ভিতর থেকে বের হয়ে জনগণের পাশে দাড়ান, জাতির সেবা করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত হবে না। এটা কাজে লাগিয়ে যদি অবৈধতার গ্লানি কিছু কমানো যায় আর কি। শফিকুল ইসলাম মিজান লিখেছেন, ‘একজন নেতার এমনই হওয়া উচিত করোনায় যখন জাতি চিন্তিত, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত,তখনি স্যার জাতিকে সুন্দর সুন্দর কৌতুক বলে এই চিন্তা থেকে দুরে রাখতেন।এরকম সেন্স অফ হিউমারড সম্পন্ন নেতা পৃথিবীতে বিরল। ‘মো. ইব্রাহিম লিখেছেন, ইট ওয়াজ ফ্যান্টাস্টিক লিডার। কাউছার আহমেদ লিখেছেন, মানুষ মরে যাচ্ছে না খেতে পেয়ে,উনি হাসিমুখে পোজ দেয়।’’
গিনেজ বুকে ওকে ফ্যাশন
ফেসবুকে তার বাড়াবাড়ি রকমের ফ্যাশন তাকে গোটা মন্ত্রীসভা থেকে আলাদা ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। সেদিক থেকে অনেকে বলছেন, এর তুলনা বাংলাদেশেই শুধু নয়, বিশ্বেই একটা রেকর্ড হতে পারে। এমনকি গিনেজ বুক অব রেকর্ডে ওঠার দাবি রাখে। কেউ রসিকতা করে বলছেন, এবারের ঈদে এটাই ‘ওকে স্টাইল’।
কেউ বলছেন, তিনি তো ভীষণ ব্যস্ত। সেটাই স্বাভাবিক। তাই ফেসবুক (ফেবু) পরিচালনা করা হয়তো তার পক্ষে সম্ভব নয়। কেউ হয়তো পরিচালনা করেন। তিনি হয়তো জানেন না। করোনাকালে এভাবে তার ছবি আপলোড করা হচ্ছে।
তবে ব্যাকগ্রাউন্ডে প্রকৃতির নয়নাভিরাম দৃশ্য। বোঝাই যায়, অফিশিয়াল ফটোগ্রাফারের নির্দেশনায় তিনি পোজ দিয়েছেন। নানা ভঙ্গিমা। তাঁর ভক্তরা একবাক্যে বলছেন, আহ, লিডার, অপূর্ব। অবশ্য তার সমালোচকরা বলছেন, বাঙ্গালি পারেও বটে। শুধু করোনাকাল নয়, এখন দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানির নিচে। খোলা আকাশের নিচে, বাধের উপরে উল্লেখযোগ্য মানুষকে বাস করতে হয়। প্রতিদিনের মিডিয়া রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার, টেস্ট যা দরকার, সেটা করতে পারবে না বাংলাদেশ। প্রতিদিন ২০ হাজার টেস্ট সংখ্যা পর্যন্ত ধরে রাখা যাচ্ছে না।
ফ্যাশন নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের মতে বাংলাদেশের মানুষের আয়ু বেড়েছে। ৭০ ছাড়িয়ে গেছে। অথচ যাদের ৬০ পেরিয়েছে, তারাই ফ্যাশনের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন। অধিকাংশ প্রবীণ, তা তারা যে পেশাতেই থাকুন, সবাই ফ্যাশনের প্রতি নির্লিপ্ত হয় যান। সেদিক থেকে একজন দুর্দান্ত স্টাইলিশ তিনি। প্রবীণদের হার্টথ্রব বলতে চান কেউ কেউ। বিশেষ করে করোনাকালে তিনি ক্রমাগতভাবে তাঁর ভক্তদের কাছে আকর্ষণীয় হিসেবে ধরা দিচ্ছেন। তার বয়স অবশ্য মাত্র ৬৮।
অনেকে বলছেন, অনেক দিন ধরেই তিনি শুধু কথাই বলছেন। কিন্তু তাঁর তো রয়েছে বহুমুখী প্রতিভা। তার নিজের ফেবু থেকেই দেখা যায়, তাঁর লেখালেখি সর্ম্পকে জাতীয় অধ্যাপক কবির চৌধুরী বলেছিলেন, ‘যখনি সংকট, যখনই এক অপয়া অন্ধকার ওঁৎ পেতে আসে, যখনই সমাজ ধুসরতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। যখনই মিথ্যা ও ইতিহাস বিকৃতির গোলকধাঁধাঁয় নয়া প্রজন্মকে দিগভ্রান্ত করার অপচেষ্টা, যখনই রাজনীতির গৌরব কলুষতায় ঢেকে দেয়ার অপপ্রয়াস-তখনই ওবায়দুল কাদের এর এই জীবন ঘনিষ্ঠ, সত্য ও সুন্দরের আরাধনাময় সাহসী রচনা সমাজকে আলোর ইতিহাস শোনাতে পারে’।
প্রয়াত কবীর চৌধুরীর মতোই অনেকে আশা করছেন, অপয়া অন্ধকার চলছে । এখন তার কলম ধরা উচিত।
কবি নির্মলেন্দু গুণ তাঁর সম্পর্কে বলেছেন, বাংলার বাণী পত্রিকায় সম্পাদকীয় বিভাগে আমার সহকর্মী ছিলেন, কলাম লেখক হিসাবেও জনপ্রিয় হয়েছিলেন।…আমি তাঁর অলংকৃত কাব্যিক ভাষায় বক্তৃতার একজন ভক্তশ্রোতা।
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের তাঁর সর্ম্পকে মূল্যায়নঃ ওবায়দুল কাদের শুধু রাজনীতিক নন, তিনি সাংবাদিক, তিনি বাগ্মী, তিনি লেখক। বক্তৃতায় বাংলা শব্দ উচ্চারণ, ছন্দের ব্যবহারে চারণকবি তিনি। নিবন্ধ লেখক হিসেবে যুক্তি ও বিশেষণে তীব্র লক্ষ্যভেদী তিনি। অনেকেই তার কাছে তাই করোনাভেদী লেখা আশা করেন।