ক্রাইমর্বাতা রিপোট : সাতক্ষীরা:রিমান্ডের চতুর্থ দিনে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে খুলনার র্যাব কার্যালয় থেকে তার গ্রেপ্তারস্থল সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী শাখরা-কোমরপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়া যায়। বিকেলে তাকে লাবণ্যবতি নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজের ওপর মিনিট দশেক রাখা হয়। পরে তাকে আবারো খুলনায় র্যাব-৬ এর সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডের প্রাপ্ত তথ্য না জানানো হলেও দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সাহেদ করিম মাঝে মাঝে খুব ক্ষ্যাপাটে আচরণ করছেন। আবার কখনো কখনো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে সাতক্ষীরায় তার অবস্থান ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি তথ্য দিয়েছেন।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের এসআই রেজাউল ইসলাম জানান,গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, তবে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা সমীচীন হবেনা।
জানা যায়, দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার হওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সাতক্ষীরার আমলী আদালত- ৩ এর বিচারক (ভার্চুয়াল) রাজীব রায়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা খুলনা র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের উপপরিদর্শক রেজাউল করিমের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন শুনানী শেষে এ আদেশ দেন। পরের দিন সোমবারই তাকে ঢাকা থেকে খুলনা র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তের লাবন্যবতী নদীর উপর নির্মিত ব্রেইলী ব্রীজ এর নীচ থেকে সাহেদকে বোরখা পরিহিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন রাতে র্যাব-৬ এর সিপিসি-১ এর ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্টের ১৯-এ উপধারা এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ এর বি/এ ধারায় দেবহাটা থানায় একটি মামলা(৫নং) করেন। মামলায় সাহেদ করিমসহ তিনজনকে আসামী করা হয়
রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অস্ত্র মামলার চার্জশিট দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ দুপুরে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
রাজধানীর মিন্টুরোডস্থ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পাবলিক রিলেসন্স ও মিডিয়া সেন্টারে আজ দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় ডিবির দায়ের করা অস্ত্র মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। মাদক মামলার চার্জশিট কয়েকদিন পরে দেওয়া হবে।
ডিবিতে রিমান্ড চলাকালীন অবস্থায় সাহেদকে নিয়ে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালায় ডিবি। পরে সেখান থেকে অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি আলাদা দু’টি মামলা করে। সূত্র : বাসস