সাতক্ষীরায় সেপটিক ট্যাংকি পরিষ্কার করতে গিয়ে   একে  একে  তিন জনের মৃত্যু

রুহুল কুদ্দুস আশাশুনি:  ক্রাইমর্বাতা রিপোট : সাতক্ষীরা:সাতক্ষীরায় বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি পরিষ্কার করতে গিয়ে গ্যাস পয়জনিংয়ে একজন স্কুল শিক্ষকসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে জেলার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের পুইজালা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের পুইজালা গ্রামের মৃত লক্ষীকান্ত সানার ছেলে পুইজালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগদিশ চন্দ্র সানা (৫২), একই গ্রামের মৃত পরিমল সানার ছেলে তপন কুমার সানা (৪৩) ও মৃত সোনা দাশের ছেলে মদন কুমার দাশ (৩৩)।
শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, জগদিশ মাষ্টারের বাড়ির সেফটিক ট্যাংকি পরিষ্কার করার জন্য সকাল পৌনে ৯টার দিকে ট্যাংকির ঢাকনা খুলে মই লাগিয়ে প্রথমে মদন দাশ ভিতরে প্রবেশ করে। মদন দাশ উপরে উঠে না আসায় কিছুক্ষন পর জগদিশ মাষ্টার নিজে মই বেয়ে ট্যাংকির ভিতরে ঢোকে। একপর্যায় জগদিশ মাষ্টারও বেরিয়ে না আসায় একইভাবে তপন দাশ ট্যাংকির ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা তিনজনের কেউ ট্যাংকির ভিতর থেকে বেরিয়ে না আসায় তাদের প্রতিবেশী ফনি মই দিয়ে ভিতরে নামতে গিয়ে বিকট গন্ধ পেয়ে দ্রুত বেরিয়ে আসে। একইভাবে বিনয় ও বিধান মইয়ের মাঝ বরাবর নেমে জগদিশ মাষ্টার, তপন ও মদনকে ট্যাংকির মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে বেরিয়ে আসে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সেপটিক ট্যাংকির মুখ ভেঙ্গে তাদের তনজনকে উদ্ধার করে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎস্যক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎস্যক ডাঃ হিসাম আল কবির জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। সেপটিক ট্যাংকির ভিতরে অক্সিজেন কম থাকায় গ্যাস পয়জনিংয়ের কারনে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করেছেন।

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।