ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই লিয়াকত ও এএসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের সাত দিনের রিমান্ড এবং অন্য চার আসামিকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কড়া পুলিশি প্রহরায় ওসি প্রদীপকে বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার আদালতে আনা হয়। এ ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে ৯ আসামির মধ্যে সাতজন আত্মসমর্পণ করেন। দু’জন আত্মসমর্পণ করেননি।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে সাবেক সেনাকর্মকর্তা সিনহাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ এনে পুলিশের ৯ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। ওসি প্রদীপ এবং চেকপোস্টে সিনহাকে গুলি করা পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ অপর আসামিরা হচ্ছেন- উপপরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত ও টুটুল, সহকারী উপপরিদর্শক লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, মো: আবদুল্লাহ আল মামুন ও মোহাম্মদ মোস্তফা।
গতকাল চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে আত্মসমর্পণের জন্য কক্সবাজার আদালতে আসেন প্রদীপ কুমার দাশ। হত্যা মামলা থাকার পরও কেন প্রদীপ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে এর আগে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রদীপ নিজ থেকেই আদালতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য পুলিশ পাহারা রয়েছে। গত মঙ্গলবার ওসি প্রদীপ অসুস্থ দাবি করে ছুটি নিয়ে থানা থেকে বেরিয়ে যান। পরে তিনি চট্টগ্রাম পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন। তার বাড়ি চট্টগ্রামে। আদালতের আদেশের পর আসামিদেরকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রদীপ ভুলেই গিয়েছিলেন মানুষেরও প্রাণ আছে!
পাখির মতো মানুষ খুন করতে করতে ওসি প্রদীপ ভুলেই গিয়েছিলেন মানুষেরও প্রাণ আছে! ক্রসফায়ারের নামে একের পর এক মানুষ খুনের মাধ্যমে দেশের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফকে মৃত্যুপুরী বানানো ভয়ঙ্কর সেই ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে এখন নির্যাতিত মানুষেরা কথা বলতে শুরু করেছেন। এক এক করে বেরিয়ে আসছে তার চাঁদাবাজি, ইয়াবাবাজিসহ নানা লোমহর্ষক কর্মকাণ্ড। সহযোগী দীপক, সজিব ও মিঠুনদের নিয়ে প্রদীপ কুমার দাশের গড়ে তোলা মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে কথা বলা এক সময় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ছিল কিন্তু সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার জীবনের বিনিময়ে কিছুটা হলেও ফিরেছে মানুষের সাহস। সবশেষে বিচার হবে কি না এ নিয়ে সাধারণের মধ্যে অনেক প্রশ্ন থাকলেও আপাতত প্রদীপ যে বিচারের কাঠগড়ায় তাও বা কম কি? এমনটাই ভাবছেন স্বজনহারাদের পরিবারগুলো।
ওসি প্রদীপের এমন নিষ্ঠুরতার অন্ধ সমর্থনকারী হিসেবে এখন জেলা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেও কথা বলছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। সাবেক রাষ্ট্রদূত মরহুম ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর কন্যা এবং সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের বোন নাজনীন সরওয়ার কাবেরী তার টাইম লাইনে লিখেছেন, ‘সাবাস হিরো শহীদ সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। তোমার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে হলেও আমরা সকল নিরপরাধ মানুষ হত্যার বিচার পাবো। ‘তামিল সিনেমার নায়কের গ্রেফতারের সাথে সাথে আমরা, সিনেমার প্রযোজককেও (এসপি) অপসারণ ও রিমান্ডের দাবি জানাই।’ তিনি আরো লিখেছেন ‘দীর্ঘ দিন ধরে জেলা পুলিশ, মিথ্যা মামলা হামলায় উখিয়া টেকনাফসহ সারা জেলায় নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। যার সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খুন হওয়া।’ ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে নিরপরাধ ব্যক্তিকেও ক্রসফায়ার করা হয়েছে, হাতিয়ে নেয়া হয়েছে টাকা কড়ি, শেষসম্বল।
রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে উখিয়া টেকনাফ আজ নেতৃত্বশূন্য। ইয়াবার টাকায় দাপটে চলছে ডনরা। তারা ওসি প্রদীপের অ্যাকাউন্ট মজবুত করে বাহুলগ্নতা পেয়েছে। পুলিশ সুপার সব কিছু জেনেও অচেতন ছিলেন। পুলিশি বর্বরতার এই দায় কি সুপার মাসুদ এড়াতে পারেন? নিরপরাধ মানুষকে ইয়াবায় ফাঁসানোর বিভিন্ন প্রয়াসের প্রতিবাদ করলে বলা হতো ইয়াবা ব্যবসায়ীকে উসকানি ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। উখিয়ায় সাধারণ মানুষের পকেটে ইয়াবা দিয়ে টাকা ছিনতাই অতঃপর মারধর ও জেলে অন্তরীণ করার বিরুদ্ধে কথা বলায় ও আইজিপির কাছে লিখিত বিচার প্রার্থনা করায় এসপির ক্ষোভের অন্ত নেই? কেন সিনহার মতো মেধাবী মানুষ যিনি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন, তাকে হত্যার পরও ইয়াবা, গাঁজা, বিদেশী মদ ও অস্ত্র পাওয়া গেছে বলে সাফাই গাইলেন এসপি সাহেব! এর মাধ্যমে তিনি কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি! এতেই কি প্রমাণ হচ্ছে না, এসপি নিজেই প্রদীপের আশ্রয়দাতা হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন!
ওসি প্রদীপে নির্দেশেই মেজর রাশেদ সিনহাকে ক্রসফায়ার!
নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা প্রায় এক মাস ধরে কক্সবাজারে অবস্থান করায় সংশ্লিষ্ট সব মহলের কাছে অপরিচিত ছিলেন না। অনেকবার তিনি শাপলাপুর চেকপোস্ট অতিক্রম করেছেন পুলিশের বিনা বাধায়। সূত্র মতে, তিনি কক্সবাজারের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ভিডিও চিত্র সংগ্রহের পাশাপাশি তার চোখে ধরাপড়া টেকনাফ পুলিশের মাদক কারবার সম্পর্কেও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। তার এই ভূমিকায় দারুণভাবে ক্ষুব্ধ হন ওসি প্রদীপসহ তার পালা দুর্বৃত্ত চক্র। তাই সিনহাকে শেষ করার পরিকল্পনা আগে থেকেই নিয়েছিলেন ওসি প্রদীপ। শুধু অপেক্ষা করছিলেন সুযোগের। সেই মতে ঈদের সময়ে অর্থাৎ ৩১ জুলাই রাতের অন্ধকারে সিনহাকে পেয়ে পরিকল্পিতভাবে ক্রসফায়ারের নির্দেশ দেন প্রদীপ। শুধু তাই নয়, গুলি করার পর ওসি প্রদীপ দ্রুত থানা থেকে এসে গুলিবিদ্ধ সিনহার দেহ থেকে প্রাণ বের হচ্ছিল এমন অবস্থায় লাথি মেরে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর সিনহার সেই ভিডিও, সেই তথ্য ধ্বংস করে দেন। ওসি প্রদীপ সর্বশেষ এক ভিডিও বার্তায় ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে টেকনাফকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘গায়েবি হামলা হবে বাড়ি ঘরে, গায়েবি অগ্নিসংযোগ হবে।’ প্রদীপের এই ঘোষণার পর ঈদের দিন বেশ কিছু বাড়ি ঘরে হামলা চালানো হয় এবং খুরেরমুখ এলাকায় সড়কের পাশে উঠিয়ে রাখা বেশ কিছু জেলে নৌকায় (ফিশিংবোট) অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং শতাধিক বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় চলে ব্যাপক চাঁদা আদায়। এখানে সেখানে পাওয়া যায় গুলিবিদ্ধ লাশ।
সর্বশেষ গত ২৮ দিনে ১১টি বন্দুকযুদ্ধে উখিয়ার জনপ্রিয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বখতেয়ারসহ কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করা হয় ২২ জনকে। ২৯ জুলাই হোয়াইক্যং ইউনিয়নের আমতলী এলাকার আনোয়ার হোসেন (২৩), পূর্ব মহেষখালীয়া পাড়ার আনোয়ার হোসেন (২২), নয়াবাজার এলাকার ইসমাইল (২৪) ও খারাংখালী এলাকার নাছিরকে ধরে নিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করে রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়কে নিয়ে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ সম্পন্ন করে। ওই দিন কক্সবাজার ঝাউবাগান থেকে পাওয়া যায় গুলিবিদ্ধ অপর এক যুবকের লাশ। ওসি প্রদীপ আগে এবং পরে মাদক নির্মূলের ঘোষণা দিয়ে যতগুলো কথিত বন্দুকযুদ্ধের কথা বলেছেন সব ক’টিতে ইয়াবা তথা মাদক, অস্ত্র ও হত্যা তিনটি মামলা এন্ট্রি করত। এসব মামলায় এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। তারপর শুরু হয় গ্রেফতার বাণিজ্য। মামলার চার্জশিট থেকে আসামি বাদ দেয়া এবং চার্জশিটে নাম দেয়ার ভয় দেখিয়ে আদায় করা হয় কোটি কোটি টাকা। মাসে শত কোটি টাকা উপার্জন করে ওসি প্রদীপ। তথ্য মতে, প্রদীপের বিরুদ্ধে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অনেকবার চাঁদাবাজি, স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ, ইয়াবার নামে ব্যবসায়ীদের হয়রানি, মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে কোটি টাকা আদায় ইত্যাদি বহু অভিযোগ গেছে; কিন্তু পুলিশ হেডকোয়ার্টার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ওসি প্রদীপের নেতৃত্বে তার পোষা মাফিয়াচক্রের বহুবিধ অপকর্ম নৃশংসতার তথ্য এখন পাওয়া যাচ্ছে। হোয়াইক্যংয়ে আনোয়ার নামে এক ব্যক্তিকে তিন দিন ধরে টর্চার সেলে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। প্রতিকার পেতে তার স্ত্রী এবং বোন কক্সবাজার আদালতে এলে খবর পেয়ে তিনি দুই নারীকে তুলে নিয়ে টানা ৫ দিন গণধর্ষণ করে এবং প্রত্যেককে ইয়াবা দিয়ে চালান দিয়ে দেয়। প্রদীপ হ্নীলার দুবাই ফেরত এক যুবককে ধরে সকালে এক পা ও এক হাতে গুলি করে বাড়িতে ফোন করে টাকার জন্য। তার স্বজনেরা ২২ লাখ টাকা নিয়ে সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে দিয়ে এলেও ওই যুবককে তার ক্ষতস্থানে ছুরি দিয়ে আঘাতে হত্যা করে। সম্প্রতি হ্নীলার যুবক শাহীনকে জুমার নামাজরত অবস্থায় তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। শাপলাপুরে বৃক্ষপ্রেমিক হিসেবে চ্যানেল আই পুরস্কার পাওয়া হাবিব উল্লাহ স্থানীয় এক পুলিশ ও এনজিও কর্মকর্তার সাথে বিরোধের অপরাধে হাবিবকে আটক করে নির্মমভাবে হত্যা করায় ওসি। বিজিবির সোর্স হাসান আলী মাদক ও ওসির বিরুদ্ধে কথা বলায় ক্ষিপ্ত হন প্রদীপ। ফলে হাসান আলীকে তার ফিশিং জাল মেরামতকালে প্রকাশ্যে ধরে নিয়ে তিন দিন আটক রেখে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় বলে প্রচার করেন। এই ঘটনায় স্বামী হারানো স্ত্রী প্রতিবাদ করায় তার মাথা গোঁজার শেষ ঠিকানা বসতবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর একমাত্র সন্তান জুনাইদকে গ্রেফতার করতে গিয়ে তার বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৩০-৪০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঝিমংখালীর এক শিক্ষককে মাদক মামলার ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে ৩ লাখ টাকা আদায় করে এবং পরে একটি মাদক মামলায় চালান দেয়।
সিআইপি সাইফুল থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা আদায় করার পরও তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়। এভাবে শত শত মানুষকে তিনি ধরে নিয়ে নির্যাতন করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় এবং ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করেছেন। নিরীহ অনেক রোহিঙ্গাকে ইয়াবা কারবারি বানিয়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনা সাজিয়ে উচ্চমহলের বাহবা কুড়াতেও কার্পণ্য করতেন না। তার হাতেই টেকনাফে ১৪৫টি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে এবং ১৪৪ জনকে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়। তিনি ২০১৮ সালে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে কক্সবাজার ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন এলাকা না ছাড়লে ক্রসফায়ারে দেয়া হবে।
এত সব বন্দুকযুদ্ধের পরও প্রদীপ পুলিশে জাতীয় বীরে পরিণত হন এবং ২০১৯ সালে পুলিশের সর্বোচ্চ পদক ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক’ বা বিপিএম পেয়েছিলেন। পদক পাওয়ার জন্য তিনি পুলিশ সদর দফতরে ছয়টি সাহসিকতাপূর্ণ ঘটনার কথা উল্লেখ করেন এবং সব ক’টি ঘটনাতেই আসামি নিহত হন। প্রদীপ কুমার দাশ প্রায় ২৫ বছরের চাকরিজীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলে। তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া, মহেশখালী এবং সর্বশেষ টেকনাফ থানায় ছিলেন। মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি হওয়ার পর গত বুধবার তাকে প্রত্যাহার করা হয়।dailynayadiganta