ক্রাইমবার্তা রিপোট: কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগী শিপ্রা দেবনাথের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে তার আরেক সঙ্গী স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী চিত্রগ্রাহক সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন আবেদনের শুনানি আগামীকাল সোমবার নির্ধারণ করা হয়েছে।
রামু থানায় করা মামলায় রোববার শিপ্রার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১-এর বিচারক দেলোয়ার হোসেন।
বিষয়টি রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন শিপ্রার আইনজীবী অরুপ বড়ুয়া তপু।
শিপ্রা দেবনাথের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর থানা এলাকায় এবং তিনি ঢাকার স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। সে সুবাদে মা-বাবা নিয়ে ঢাকার রামপুরা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
এদিকে নিহত সিনহার আরেক সহযোগী সিফাতের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় করা মাদক ও অস্ত্র মামলার শুনানি হবে সোমবার। আদালত সূত্রে বরাত দিয়ে তার আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩ জুলাই স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের তিন শিক্ষার্থীসহ ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভ্রমণ ভিডিও তৈরি করতে কক্সবাজারে যান সিনহা।
৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
পরে গত বুধবার তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।
পাশাপাশি র্যাব ১৫-এর কমান্ডারকেও তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে এ মামলায় ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে সবাই কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।
এদিকে সিনহা হত্যার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের পক্ষ থেকে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
প্রথমে টেকনাফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হেলাল উদ্দিন মৌখিকভাবে টেকনাফ থানার সদ্য সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সদ্য সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাকি চার আসামি এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে দুদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। পরে লিখিত আদেশে সবারই সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।