ক্রাইমবার্তা রিপোট : করোনায় আক্রান্ত হয়ে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্সের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তাঁর বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায়। তিনি তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ নার্স ছিলেন।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সূত্রে জানা গেছে, জ্বর, সর্দি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২০ জুলাই দুপুরের দিকে ওই নার্সকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর স্বজনেরা। তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত সোয়া নয়টার দিকে তিনি মারা যান।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি ১২ জুলাই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ তে ভর্তি হন। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে রিপোর্ট পজেটিভ আছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সাথে লকডাউন করা হয়েছে তাদের বাড়ি।
সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে সিনিয়র নার্সসহ ২ জনের মৃত্যু
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারী স্বাস্থ্যকর্মী ও উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে তারা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
কোভিড আক্রান্ত ওই নারী স্বাস্থ্যকর্মী হলেন, তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স মর্জিনা খাতুন (৫৭)। তিনি বরগুনা জেলার কাউনিয়া উপজেলার পূর্ব কাউনিয়া গ্রামের ইফসুফ আলীর স্ত্রী। আর কোভিড উপসর্গ নিয়ে যিনি মারা গেছেন তিনি হলেন, কলারোয়া উপজেলার সদরের মৃত বদর উদ্দীনের ছেলে রহমত আলী (৫০)।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গত ১২ জুলাই কোভিড পজিটিভ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স মর্জিনা খাতুন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেয়া হয় আইসিইউতে। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি রাতে মারা
যান।
এদিকে, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ কোভিড উপসর্গ নিয়ে গত ৬ আগষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন কলারোয়ার রহমত আলী। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও রাতে মারা যান। ভর্তির পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হলেও এখনও তার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন আফিসের তথ্য মতে, কোভিড আক্রান্ত হয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ২৪ জন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো অন্তত ৬১ জন।
এনিয়ে, সাতক্ষীরায় করেনার উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৪ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ২৩ জন।