মিথ্যা অভিযোগ ও গরিব কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে সংঘর্ষ সৃষ্টির পায়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: কলারোয়ায় মৎস্য ঘের দখলের উদ্দেশ্যে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং গরিব কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে সংঘর্ষ সৃষ্টির পায়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের ঘের মালিক মৃত জোহর আলী মোড়লের ছেলে মো: নজরুল ইসলাম স্থানীয় জমির মালিকদের সাথে নিয়ে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২০০০ সালের বন্যার পর আমাদের বসন্তপুর ও মানিকনগর বিলের জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ সময় বিলের জমির মালিকরা বাৎসরিক হারি নির্ধারণ করে মাছের ঘের করার জন্য আমাকে অনুরোধ করে। জমির মালিকদের অনুরোধে আমি আমার ছোট ভাই আরিজুল ও প্রতিবেশি মাস্টার হাবিবুর রহমানের ছেলে মোখলেছুর রহমান কে সাথে নিয়ে এলাকার ৬১ জন জমির মালিকদের নিকট থেকে ১০ বছরের জন্য জমি লীজ নিয়ে মাছের ঘের পরিচালনা করে আসছি। ইতিমধ্যে ৪ বছর অতিবাহিত হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক সামনে এখনো ৬ বছর বাকী আছে। ইতিমধ্যে ঘেরের ভেড়িবাঁধ নির্মাণে ও পানি সেচের মেশিন ক্রয় বাবদ আমাদের ২০ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় এলাকার জব্বার মোড়লের ছেলে ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতা ফারুক হোসেন, মোফাজুল হক ভোলার ছেলে শিবির কর্মী লিটন, বিএনপি ক্যাডার মাহাবুবসহ মৃত ইসমাইল মোড়লের ছেলে জালাল, মুজিবর রহমানের ছেলে মমিন ফকির, শাজাহানের ছেলে হাফিজুর, মৃত মহাতাব গাজীর ছেলে শহিদুল গাজী গংরা আমাদের আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতি করার জন্য মাছের ঘেরটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে আসছে। এরই অংশ হিসাবে ঐ প্রতিপক্ষরা পরিত্যাক্ত একটি ব্রিজকে পানি নিষ্কাশনের পথ উল্লেখ করে গণমাধ্যম কর্মীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে আসছে। বিলের সাথে কোন সংযোগ খাল না থাকলেও আমাদের ক্ষতি করার জন্য তারা বিলের পানি আটকিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে বলেও অসত্য তথ্য দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করছে। নন জুডিসিয়াল ষ্টাম্পে জমির মালিকদের নিকট থেকে সহি-স্বাক্ষর গ্রহণ পূর্বক মৎস্য ঘের পরিচালনা করে আসলেও প্রতিপক্ষরা এলাকার গরীব কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে আসছে। তারা সরলমনা কৃষকদের সংঘবদ্ধ করে এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সৃষ্টির পায়তারা চালিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষরা পরিত্যাক্ত ওই ব্রিজ নিয়ে একটি মনগড়া ইস্যু সৃষ্টি করে খাল দিয়ে বিলের পানি বের হবে বলে প্রচার করলেও বাস্তবের চিত্র ভিন্ন। প্রকৃতপক্ষে যে খালের কথা বলা হচ্ছে সেটা ঐ ব্রিজ ও ঘের থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। বিলের পানি খাল দিয়ে সরানোর চেষ্টা করলে ব্যক্তিগত ৫/৭ টি ঘেরের উপর দিয়ে খাল কেটে নিয়ে যেতে হবে। যাহা কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয়। সরেজমিনে সকলের কাছে এটা প্রমাণিত হবে।
এমতাবস্থায় বসন্তপুর বিলের মাছের ঘের নিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের কথায় কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। একই সাথে ঘের নিয়ে এলাকায় শান্তি শৃংখলা বিনষ্টকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও আমরা যাহাতে জমির মালিকদের চুক্তি অনুযায়ী হারি প্রদান করে আসামী ৬ বছর মাছের ঘের পরিচালনা করতে পারি তার সুস্থ্যতা গ্রহণের জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।