ক্রাইমবার্তা রিপোট :
শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে শর্ত মেনে ৪০০ তালেবান বন্দিকে মুক্তি দিতে শুরু করেছে আফগানিস্তান সরকার। এদের মধ্যে ১৫০ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় এদের ৮০ জনকে কারামুক্তি দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে আফগান ও বিদেশিদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে দোষীসাব্যস্তরাও রয়েছেন। এসব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া সম্পন্ন হলেই দোহায় আফগান শান্তি আলোচনায় বসবে সরকার ও তালেবান।খবর বিবিসি ও আলজাজিরার। আফগানিস্তানে ১৯ বছরের যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ প্রশস্ত করতে দেশটির আইনসভা লয়া জিরগা ৪০০ তালেবান বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়। লয়া জিরগায় এ নিয়ে টানা তিনদিনের আলোচনার পর তালেবান মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
লয়া জিরগার এক বিবৃতিতে বলা হয়, আলোচনায় বাধা অপসারণ, শান্তি প্রক্রিয়া শুরু এবং রক্তপাতের অবসান ঘটাতে লয়া জিরগা ৪০০ তালেবান বন্দি মুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় ৮০জনকে মুক্তির পর আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জাভিদ ফয়সাল এক টুইটে বলেন, এ সিদ্ধান্ত দেশে অস্ত্রবিরতি কার্যকরে ও শান্তি আলোচনার উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে। আফগান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনা শুরু করতে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান শান্তি চুক্তি সই হয়। ওই শান্তি চুক্তিতে আফগান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনার শর্ত হিসেবে আগে ৫ হাজার তালেবান বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত জুড়ে দেন বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির নেতারা। শুরুতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি তালেবান বন্দি মুক্তির শর্ত প্রত্যাখ্যান করলেও পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপে তা মেনে নেন। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ১৪ মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার নেটো মিত্ররা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও ২০১৬ সালে আফগান থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
আগামী নভেম্বরের নির্বাচন সামনে রেখে এখন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছছে ট্রাম্প প্রশাসন।