ক্রাইমবার্তা রিপোট : তানজিকা আমিন। মডেল ও অভিনেত্রী। চ্যানেল আইয়ে প্রতি মঙ্গল ও বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় প্রচার হচ্ছে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘রূপালী জ্যোৎস্নায়’। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন তৌকীর আহমেদ। এ নাটক, বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে-
‘রূপালী জ্যোৎস্নায়’ নাটকের গল্পের সঙ্গে বাস্তব জীবনের কতটা প্রতিফলন হয়েছে?
নাটকটি বর্তমান নাগরিক জীবনের প্রতিচ্ছবি। আজকের প্রেক্ষাপটে একটি পরিবারের মূল্যবোধ, সমস্যা, যাপিত জীবন দেখানো হয়েছে এতে। এর প্রতিটি চরিত্রে দর্শক চেনাজানা মানুষের অবয়ব দেখতে পাবেন। দেশের পাশাপাশি, কলকাতার দর্শকও ইউটিউবে পর্বগুলো দেখে প্রশংসা করেছেন। অনেকে বলেছে, এটা তাদের পরিবারেরই গল্প। বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি আছে বলেই নাটকটি দর্শক গ্রহণ করেছেন।
তৌকীর আহমেদের নির্দেশনায় প্রথমবার অভিনয় করলেন। কেমন ছিল কাজের অভিজ্ঞতা?
অসাধারণ। তার নির্দেশনায় অভিনয়ের অনেক ইচ্ছা ছিল। এই নাটকের মাধ্যমে তা পূরণ হলো। তার মতো বড় মাপের নির্দেশকের সঙ্গে কাজ করা নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি। শুটিংয়ে ওনার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখছি। অভিনয়কে কীভাবে নিজেকে ভাঙা যায়, চরিত্রের গভীরে কীভাবে ডুব দেওয়া- এমন নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
কার পরিচালনায় মুগ্ধ হন আপনি?
বলিউড কিংবা হলিউডে অনেকেই আছেন। আর দেশের মধ্যে সত্যি বলতে, তৌকীর আহমেদ আমার প্রিয় পরিচালক। তার নির্দেশনা আমাকে মুগ্ধ করে। তার বেশিরভাগ কাজ আমি দেখেছি।
অন্য কোনো কাজ শুরু করেছেন?
‘রূপালী জ্যোৎস্নায়’ ছাড়া এরই মধ্যে আরও কিছু কাজ করছি। কিছুদিনের মধ্যে এর বাকি অংশের দৃশ্যধারণ শুরু হবে। পাশাপাশি বেশ কিছু নাটকে অভিনয়ের কথাবার্তা চলছে। তবে এখনও কোনো কিছু চূড়ান্ত করিনি।
‘গহীনের গান’-এর পর নতুন কোনো সিনেমা নিয়ে ভাবছেন?
এটা আগেভাগেই বলতে পারছি না। ছোট পর্দা, বড় পর্দা যেটাই হোক, সেই কাজটি করতে চাই, যা নিজের ভালো লাগবে। কাজের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মনের ওপর জোর খাটিয়ে প্রতিদিন অভিনয় করতে চাই না। খেয়াল করলে দেখবেন, অন্য সবার চেয়ে আমার কাজের সংখ্যা অনেক কম। অনেক যাচাই-বাছাই করে কাজ করি বলে আমার কাজের সংখ্যা কম, তা কিন্তু নয়। আসলে যে কাজটি ভালো লাগে, সেটিই করি। ভালো কাজ যেহেতু প্রতিদিন হয় না, আমাকেও তাই প্রতিদিন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হয় না।