ক্রাইমবার্তা রিপোট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রপতির মেয়ে হয়েও আমাদের নাম পরিচয় গোপন করে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছে। আর খুনিরা বিভিন্ন দূতাবাসে আরাম-আয়েশে জীবন কাটিয়েছে। তিনি বলেন, খুনিদের বিচার না করার ইনডেমনিটি দিয়েছিল জিয়াউর রহমান আর সন্ত্রাসীদের ইনডেমনিটি দিয়েছিল তার স্ত্রী খালেদা জিয়া।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ রোববার (১৬ই আগস্ট) আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় (ভার্চুয়াল) গণভবন প্রান্ত থেকে সংযুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলেই আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটিকে ভিসা দেয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার আইন করে বন্ধ রেখেছে এবং পাকিস্তানি মদদদাতা আলবদর, রাজাকার, আল-শামসদের মন্ত্রী-উপদেষ্টা করে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে।
কর্নেল বেগ জিয়াউর রহমানকে চিঠিতে যে নতুন কাজ দেয়ার কথা বলেছিল, তা ১৫ই আগস্টের এই হত্যাকাণ্ডের অ্যাসাইনমেন্ট কি না- সে প্রশ্ন করেন শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এই আলোচনা সভায় যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চিরতরে নস্যাৎ করে দেয় খুনিরা।
তিনি বলেন, মীরজাফরের মতোই খুনি মোস্তাককে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে ক্ষমতা হাতে নিয়েছিল জিয়াউর রহমান। খুনিদের বিচার বন্ধ করা, তাদেরকে ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া পাঠানোসহ সকল কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় ছিল।
উচ্চ আদালত সামরিক শাসনামলের অর্ডিন্যান্স বাতিল করে দেশকে অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করেছে- জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের মধ্যে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরে এসেছে। দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করা জাতির পিতার কাছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অঙ্গীকার বলেও এ সময় জানান শেখ হাসিনা।।