প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত লুৎফর নিকারীর ছেলে সেলিম নিকারী তাদের নিজেদের ঘেরে মাছ ধরছিল। এ সময় পাশ^বর্তী মশিউর রহমানের ঘের থেকে সে মাছ চুরি করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। মশিউর রহমানের ঘের কর্মচারী রনি ও কয়েকজন সেলিমকে মারধর করে ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে সেলিমের বাবা লুৎফর নিকারী তার বাড়িতে যান। এসময় ভাইস চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, তালা সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি তুহিন ও ঘের কর্মচারী রনি সহ কয়েকজন লুৎফর নিকারী ও তার ছেলে সেলিমকে লাঠিসোটা দিয়ে বেপরোয়াভাবে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে লুৎফর নিকারীর গলায় গামছা পেচিয়ে তার শ^াসরোধ করা হয়। কিছুক্ষন পর তিনি জ্ঞান হারালে দুজনকেই তালা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার লুৎফর নিকারীকে মৃত ঘোষনা করেন।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমানকে আটক করা হয়েছ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, নিহতের লুৎফর নিকারীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …