ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সফর খুবই খুশির খবর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ক্রাইমবাতা রিপোটঃ ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বাংলাদেশ সফরকে ‘খুবই খুশির খবর’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ বুধবার বেলা ১১টায় সিলেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্থায়ী প্রতিকৃতি উদ্বোধনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে ১৫ আগস্টের নিহত ব্যক্তিদের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত হয়।

করোনা পরিস্থিতির কারণে টানা প্রায় পাঁচ মাস বিরতি দিয়ে আজ সিলেটে কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক। আমাদের স্বাধীনতায় তারাও রক্ত দিয়েছে। সুতরাং আমরা দুই দেশ মিলে অনেক প্রোগ্রাম একসঙ্গে করি। খুবই খুশির খবর যে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আমাদের দেশ সফরে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে।’

করোনার টিকা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ভারতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির সম্ভাবনা আছে। সেই ভ্যাকসিন আমরা কীভাবে পেতে পারি, সে বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলাপ হবে।’

করোনাকালে খুব বেশি বাধ্য না হলে প্রবাসীদের দেশে না ফেরার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে বিদেশে অনেক প্রবাসী সমস্যায় আছেন। তবে আপৎকাল চলে যাবে। তখন প্রবাসীদের অবস্থা এত খারাপ থাকবে না। ভিসার মেয়াদ নিয়ে তাঁদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। বিনা খরচে ভিসা অটোমেটিক রিনিউ হবে।’

দেশে আটকেপড়া প্রবাসীদের ফিরে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংকট কিছুটা কেটে যাওয়ায় আটকে পড়া প্রবাসীরা ফিরতে শুরু করেছেন। তবে কয়েকটি দেশ নতুন নতুন আইন জারি করে কিছুটা সমস্যা করছে। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার নতুন আইন করেছে যে শুধু ভিসার মেয়াদ থাকলেই প্রবাসীরা ফিরে যেতে পারবেন না। এ জন্য প্রয়োজন হবে কফিলের গ্রিন সিগন্যাল। নতুন এই আইনের কারণে কিছু প্রবাসীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিসার মেয়াদ থাকার পরও তাঁরা সে দেশে ফিরে যেতে পারছেন না। তবে এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কাজ চলছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁর নির্বাচনী এলাকা সিলেটে পৌঁছান। সর্বশেষ গত ৭ মার্চ সিলেটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তবে এই পাঁচ মাস তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভ অনুষ্ঠান ও অনলাইন সভায় সক্রিয় ছিলেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর ঢাকা ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভাগীয় মো. মশিউর রহমান, জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।