মাহফিজুল ইসলাম আককাজ:সাতক্ষীরা পৌর এলাকা ও সদরে ভারি বর্ষণে প্লাবিত এলাকার জলাবদ্ধতা দুর করতে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের সাকলা স্লুইচ গেট দিয়ে পাম্প মেশিনের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার উদ্যোগে সদরের ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের সাকলা স্লুইচ গেটে সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল’র মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর ০২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
এ সময় তিনি বলেন,‘সাতক্ষীরার প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের ও অপরিকল্পিত গৃহ নির্মাণ জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ। ক্যানেল করে বা ড্রেণ করে এ পানি নিষ্কাশন সম্ভব নয়। ভারী বর্ষণে প্লাবিত এলাকার চেয়ে নদীর উচ্চতা আরো উপরে। মেশিন দিয়ে তিনদিন পানি নিষ্কাশন করার পর যদি একদিন আধা ঘন্টা ভারী বর্ষণ হয় আগের চেয়ে পানি বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিচু এলাকার পানি কিভাবে উচু নদীতে যাবে। যারা পানি নিষ্কাশনের দাবীতে আন্দোলন করছে তারা সরেজমিনে গিয়ে অবস্থাটা দেখে আসলেই বুঝবে। জলাবদ্ধতা দুরীকরণে নদী খননের বিকল্প নেই। ইছামতি, মরিচ্চাপ ও বেতনাসহ সাতক্ষীরার কয়েকটি নদী পুনখনন করতে হবে। সাতক্ষীরার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে ইনশাল্লাহ।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি জি.এম নুর ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনছান বাহার বুলবুল, জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সহ-সভাপতি কাজী শওকত হোসেন ময়না, সহ-সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী, সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান বাবু, প্রচার সম্পাদক আশরাফুল করিম ধনি, সাংগঠনিক সম্পাদক (উন্নয়ন) পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎ¯œা আরা, সাংগঠনিক সম্পাদক (অধিকার) মো. কামরুজ্জামান রাসেল, সদস্য এস.এম আবুল কালাম, পৌর কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, মহিলা কাউন্সিলর অনিমা রানী মন্ডল, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান প্রমুখ। ৪টি ইলেকট্রিক পাম্পের মাধমে পানি নিষ্কাষনের উদ্বোধন করা হয়। আগামী দুই একদিনের মধ্যে আরো ৪টি পাম্প সংযোজন করা হবে। এসময় সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা এবং জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।