কুমিল্লা: গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান নারায়ণগঞ্জে মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণে এশার নামাজরত অবস্থায় নিহত ওই মসজিদের সহকারী ইমাম ও মুয়াজ্জিন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের হাফেজ দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া ও তার বড় ছেলে হাফেজ জোনায়েদ হোসেন ভূঁইয়ার কবর জিয়ারত ও পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।
দোয়া ও সহায়তা প্রদানের সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওনালা এ টি এম মাছুম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা, নাঙ্গলকোট উপজেলা দক্ষিণ আমীর মাস্টার আব্দুল করিম, উত্তর আমীর মাওলানা এএসএম মহিউদ্দিন, উত্তর সেক্রেটারি মাওলানা ইউসুফ আলী, দক্ষিণ সেক্রেটারি জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার সর্দার পাড়ার বাইতুস সালাহ মসজিদে গত শুক্রবার এশার নামাজ পড়া অবস্থায় বিষ্ফোরণের ঘটনায় মসজিদের সহকারী ইমাম ও মুয়াজ্জিন কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাফেজ দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া (৪৭) ও তার বড় ছেলে জোনায়েদ হোসেন ভূঁইয়া (১৭) নিহত হন। সরেজমিনে জানা যায়, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের মৃত মৌলভী শফিকুর রহমানের একমাত্র ছেলে হাফেজ দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া তার দুই ছেলে নিউ খানপুর হাসপাতাল রোড কাওমি মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্র জোনায়েদ হোসেন ও ২য় ছেলে একই এলাকার জামেয়া হাজী সাইদুদ্দিন হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র হাফেজ জাকারিয়াকে (১৩) নিয়ে ওই এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছিলেন। নিহত হাফেজ দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া কালির বাজার আমলাপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া শেষ করে তল্লা বাইতুস সালাহ মসজিদে বিগত প্রায় ২৫ বছর যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। হাফেজ দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার পিতা মৃত মৌলভী শফিকুর রহমান ভূঁইয়া ও একই এলাকার তল্লা বড় মসজিদে দীর্ঘ ৪০ বছর মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নিহত দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে তার সাথে একই ঘটনায় নিহত হন। তার বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় আলীম ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত, ২য় মেয়ে সুরাইয়া আক্তার একই মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। এছাড়াও ফাইজা আক্তার নামে তার ৪ বছরের আরেকটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার ২য় ছেলে ওই দিন পিতার সাথে মসজিদে এশার নামাজে উপস্থিত না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। উল্লেখ্য,জামায়াত আমীর হাফেজ দেলোয়ারের সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
Check Also
সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন
ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা: ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …