বেইজিংয়ের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই চীনে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত টেরি ব্রানস্টাড পদত্যাগ করছেন। তিন বছরের বেশি সময় তিনি চীনে এ দায়িত্ব পালন করছেন। ৩রা নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই বেইজিং ত্যাগ করতে পারেন ব্রানস্টাড। এ বিষয়ে জানেন এমন একটি সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছেন সিএনএন’কে । বেশ কয়েকটি ফ্রন্ট বা ইস্যু থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে কূটনীতিকদের চলাচলে বিধিনিষেধ। ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বেইজিংয়ের কূটনৈতিক কোরের সদস্যদের চলাচলে এমন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এরপরই চীনের ভিতরে মার্কিন সিনিয়র কূটনীতিক ও ব্যক্তিদের চলাচলে অজ্ঞাত বিধিনিষেধ আরোপ করার ঘোষণা শুক্রবার দিয়েছে চীন সরকার।
সোমবার সকালে এক টুইটে ব্রানস্টাডকে যুক্তরাষ্ট্রের একজন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মার্কিন জনগণের সেবা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রদূত হিসেবে ব্রান্ডস্টাডকে বেছে নিয়েছেন। এর কারণ হলো চীন বিষয়ে তার রয়েছে কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা। ট্রাম্প প্রশাসনে তাকে সেরা ব্যক্তি হিসেবে দেখতে পেয়েছেন। তিনি মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করতে জানেন। গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি আদর্শ ব্যক্তি। তবে ব্রানস্টাডের বিদায় নেয়া সম্পর্কে কোনো কারণ উল্লেখ করেননি পম্পেও। অথবা তার পরিবর্তে গুরুত্বপূর্ণ ওই কূটনৈতিক পদে কাকে বসানো যায় সে বিষয়েও কোনো ঘোষণা দেননি। ডনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর যে কয়েকজনকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তার মধ্যে ব্রানস্টাড অন্যতম। ট্রাম্প তখন ব্রানস্টাড সম্পর্কে বলেছিলেন, ব্রানস্টাড তখনকার আইওয়ার গভর্নর। তার পাবলিক পলিসি, বাণিজ্য ও কৃষিভিত্তিক অভিজ্ঞতার জন্য তাকে বেছে নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে রয়েছে তার দীর্ঘ সময়ের সম্পর্ক। ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সরকার বিনিময়ের সময় থেকেই এই দু’জনের মধ্যে জানাশোনা আছে।
kjl;b