আলমগীর হুসাইন বৈকারী থেকে॥ বাংলাদেশের অধীকাংশ মানুষই কৃষি নির্ভশীল।যে কারনে বাংলাদেশ কে কৃষি নির্ভরশীল দেশও বলা হয়ে থাকে। কাজের ধরন বুঝে একাক জন মানুষ হরেক রকম কৃষি কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। তার মধ্যে গরু পালন হল অন্যতম। আর এ গরু পালন শুধু কৃষক বা চাষিরা যে করে থাকে তা নয় বরং পল্লী এলাকায় হায়ার চাকুরিজীবি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে প্রায়ই সকল শ্রেণী পেশার মানুষ বাড়ীতে সাধ্য অনুযায়ী গরু লালন পালন করে থাকে। আর তার প্রধান খাদ্য হিসাবে দিয়ে থাকে বিছুলি বা পল কুটা। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে গরুর প্রধান খাদ্য বিছুলি দাম আকাশ চুম্বি হওয়ায় তা গরু পালন কারীদের ধরা ছোয়ার বাইরে এসে দাড়ীয়েছে। যে কারনে গরু পালন করতে চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে পালন কারীদের। বর্তমানে বিছুলী প্রতি কাওনের দাম ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা । অর্থাৎ একাকটা বিছলির দাম ৫ থেকে ৬টাকা যা প্রতিদিন একাকটি গরুর খাওয়াতে লাগে ৩০ থেকে ৩৫টি যার দাম ১৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা। তাছাড়া এর পাশাপাশি খৈল, ভূষি, পালিস ফিড সহ হরেক রকমের খাদ্য গরুকে খাওয়াতে হয়। গড় হিসাব করে দেখা যায় যে প্রতিদিন গরুর প্রতি যে খরচ তা হিসাব করলে আসল থেকে ঘাটতি যায় অনেক। এমতাবস্থায় গরু পালন করা দুরুহ হয়ে দাড়ীয়েছে চাষিদের সহ সব শ্রেণীপেশার মানুষের। ফলে প্রতি বছর গরু থেকে যে মুনাফাটা আসতো সেটার পরিবর্তে এখন আসছে লোকসান এ কারনে অনেকেই এখন গরু পালন করা বাদ দিচ্ছে। আর সরকার ও হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব আয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন অন্যান্য জিনিসের দামের ব্যাপারে সরকার যেমন বিভিন্ন সময়ে বাজার মনিটরিং করেন তেমনি বিছুলির দাম ও মনিটরিং করে তা ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে। কারন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বিছুলি মজুদ রেখে চড়া দামে বিক্রয় করছে। বিছুলির দাম এভাবে চলতে থাকলে আমাদের দেশে অনেকাংশই কমে যাবে গরু লালন পালন করা। গরু থেকে আমরারা যে দুধ পায় তা আমাদের দেশে অনেকাংশই পুষ্টি যোগান দিয়ে থাকে কিন্তু চড়া বিছুলির দামে আমরা সে গুলো হয়তো হারাতে বসেছি। তাই ভুক্তোভোগি মহলের দাবী যে, যাতে করে গরুর প্রধান খাদ্য বিছুলির দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে তার প্রতি উর্দ্ধধতন কর্মকর্তার যথাযথ নজর রাখতে।
Check Also
সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ড (রাজারবাগান ও সরকারপাড়া ইউনিট) এর উদ্যোগে …