ভারত গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু কেন এভাবে হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল ভারত? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারী বর্ষণে পেঁয়াজের চাষাবাদ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অনেকেই মনে করেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক কারণও রয়েছে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় এক দিনেই বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। গত সোমবার যেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, সেখানে মঙ্গলবার এক লাফেই তা ১০০ টাকায় পৌঁছে। এর আগে গত বছরও ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর বাংলাদেশের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। এবারও হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিল দেশটি। কেন এভাবে বারবার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে বিবিসি বাংলা। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক বিশ্লেষক কুনাল বোস বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকেই পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হয়। বেশি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে এই দুটো স্থানেই এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে। এটা একটা কারণ হতে পারে। তিনি বলেন, এ ছাড়া আগামী বছর বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নির্বাচন হবে। এই দুই রাজ্যেই যারা এখন ক্ষমতায় আছেন, তাদের জন্য এটা একটা কৌশলগত ব্যাপার। বিহার যদিও নিজে পেঁয়াজ উৎপাদন করে, পশ্চিমবঙ্গে কোনো পেঁয়াজ হয় না। এটা একটা কারণ হতে পারে যে, পশ্চিমবঙ্গে পেঁয়াজের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ বিরক্ত হতে পারে, যার ফল হয়তো ভোটে কিছুটা আসতে পারে। তবে ভারতের মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে পেঁয়াজের উৎপাদন কম হলে ভবিষ্যতে এ রকম পরিস্থিতি আরও দেখতে হতে পারে বলেও উল্লেখ করে কুনাল বোস।
Check Also
সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন
ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা: ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …