বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিটক) কিশোরী রায়ার ইচ্ছে পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার ইচ্ছে প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া ভিডিও বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী রায়ার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে রায়ার সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল তার ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দিয়েও প্রধানমন্ত্রীর কথা বলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পোস্টে অপু উকিল রায়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কলের দুটি স্থিরচিত্রও প্রকাশ করেছেন।
ফেসবুক পোস্টে অপু উকিল লিখেছেন, ‘নিজের জীবনকে জনগণের জন্য উৎসর্গ করে দিয়ে যিনি প্রতিটি মুহূর্ত এ দেশের মানুষের স্বপ্ন সত্যি করতে চান, ইচ্ছা পূরণ করতে চান, তিনি জাতির জনকের কন্যা মানবতার বাতিঘর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
অপু উকিল আরও লিখেছেন, ‘এক কিশোরী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল। মানবিক প্রধানমন্ত্রী সে কথা জানতে পেরে পরম স্নেহে কিশোরীটির সঙ্গে ভিডিও কল করে শত ব্যস্ততার মধ্যেও কথা বলেছেন।’
এ বিষয়ে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, রায়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা পোষণ করে সোশ্যাল মিডিয়া একটি ভিডিও বার্তা দিলে তা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করে রায়া নামে ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলেন।
পরে রায়ার শিক্ষিকা হাসিনা হাফিজ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রী রায়ার সঙ্গে কথা বলেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলার পর রায়ার মা আরায়া হাফিজ তার ফেসবুক পেজে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। সেই ভিডিওটি মেয়ার করেছেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া তার ফেসবুক পেজে।
রায়ার মা হাসিনা হাফিজ তার ফেসবুক পেজ থেকে আপলোড করা ভিডিও বার্তায় বলেন বলেন, ‘আমরা গতকাল একটি ভিডিও আপলোড করেছিলাম। যেখানে রায়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেছিল তার সঙ্গে তিনি যেন কথা বলেন। পরম করুনাময় অসীম আল্লাহর দয়ায় আমরা আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী একটু আগে ফোন করেছিলেন। তিনি অনেকক্ষণ কথা বলেছেন। লকডাউনের সিচুয়েশন আরেকটু নরমাল হয়ে গেলে রায়াকে প্রধানমন্ত্রী তায বাসায় গিয়ে দেখা করতে বলেছেন।’
এসময় রায়ার অনুভূতি জানতে চাইলে সে বলে, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি আই লাভ ইউ। আমি তার সঙ্গে অনেক কথা বলেছি। আমি তাকে বলেছি লকডাউন শেষ হলে তোমার বাসায় গিয়ে গল্প করবো, দেখা করবো। আই লাভ ইউ বলবো।’ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাওয়ায় যায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এবং সবার কাছে দোয়া চেয়েছে।