ইয়াবা খাওয়া ও চরিত্র খারাপের অভিযোগে স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করার পর নিজেই ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে জানালেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহিম (৪০)। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে খুনের স্বীকারোক্তি দিয়ে নিজেই আত্নসমর্পণ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৯ টার দিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তার আব্দুল মাবুদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক স্বামী আবদুর রহিম একই এলাকার রঞ্জু মিয়ার ছেলে। সে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাতকানিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে স্বামীর উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতরভাবে জখম হয় স্ত্রী শারমিন সুলতানা রিনি (৩০)। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) নেওয়ার পথেই রিনির মৃত্যু ঘটে।
রিনির মৃত্যুর পর স্বামী আবদুর রহিম নিজেই ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ।
বর্তমানে সে থানা হেফাজতে রয়েছে। নিহতের পরিবার এসে মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
এদিকে থানা হাজতে থাকা স্বামী আবদুর রহিমের মধ্যে স্ত্রী হত্যায় কোনরকম অনুশোচনা লক্ষ্য করা যায়নি বলে জানান ওসি। বরং সে বারবার নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্ত্রীকে চরিত্র দোষে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে আবদুর রহিম জানান, নয় বছরের বিবাহিত জীবনে তাদের তিন সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে এক সন্তান সদ্য ভুমিষ্ট হওয়া। মাত্র তিনমাস আগেই তৃতীয় সন্তানের মা হয়েছেন রিনি।
জানা যায়, ৯ বছর আগে সাতকানিয়ার গোয়াজার পাড়া এলাকা থেকে রিনিকে ভালবেসে বিয়ে করেন আবদুর রহিম। কিন্তু বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তাদের মধ্যে বিবাদ হত। স্বামী নিজেই স্ত্রীকে প্রায় চরিত্র খারাপ ও ইয়াবা খায় বলে বলত।
তবে ঘরের মধ্যে রিনি কিভাবে ইয়াবা পেত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে-স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামী আবদুর রহিমের অভিযোগ মিথ্যে। এর পেছনে অন্য কোন রহস্য থাকতে পারে। রিনির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর হয়তো আসল তথ্য জানা যাবে।