ক্রাইমবাতা রিপোট: রাষ্ট্রদ্রোহ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি মো: এমদাদুল হক এবং মো: আকরাম হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এক বছরের জন্য দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না সে মর্মে রাষ্ট্রপক্ষকে কারণ দর্শানোর জন্য রুল ইস্যু করেছেন।
আদালতে আবুল আসাদের পক্ষে শুনানি করেন প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন এ্যাডভোকেট মো: আসাদ উদ্দিন। জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানী করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো: গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও এ্যাসিস্ট্যান্ট এটর্নি জেনারেল মো: রবিউল ইসলাম।
শুনানিতে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আবুল আসাদ বাংলাদেশের সবচেয়ে বয়জ্যেষ্ঠ সম্পাদক। একজন বয়জ্যেষ্ঠ ও প্রবীণ সম্পাদকের পক্ষে সংবাদপত্রের সকল সংবাদ সবসময় পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব হয় না। তাছাড়া আব্দুল কাদের মোল্লাকে নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তার জন্য ইতিমধ্যেই তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি অসুস্থ ও দীর্ঘ প্রায় আট মাস কারাবন্দী। তাকে জামিন প্রদান করলে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে প্রভাব পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আইনজীবীরা জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে শহীদ উপাধি দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে দন্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহ ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করেন এক মুক্তিযোদ্ধা। সে মামলায় ১৪ ডিসেম্বর আবুল আসাদকে তার অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে এ্যাডভোকেট শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করতে হলে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে ‘কমপ্লেইন্ট’-এর মাধ্যমে করতে হয়। কিন্তু এ মামলাটি একজন ব্যক্তি থানায় এফ.আই.আর দায়েরের মাধ্যমে করেছেন যা আইন দ্বারা বারিত। অন্যদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে হলে অভিযোগের বিষয়টি কোন ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার হতে হবে। কিন্তু এ মামলায় বাদী প্রিন্টেড পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন যা এ আইনে বিচার্য নয়। এছাড়া জামিন প্রদানের সময় মাননীয় আদালত আসামির প্রায় ৮০ বছর বয়সের বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়েছেন।