ওয়াফা : ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ সংহতি প্রচেষ্টা ও নির্বাচন পরিকল্পনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানের সহায়তা চেয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা বলছে, সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস। চলতি মাসের শুরুর দিকে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক দলগুলো অভ্যন্তরীণ বিভাজনের অবসানে ঐক্যমতে পৌঁছায়। অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের নীতিতেও রাজি হয় তারা।
আলোচনায় আব্বাস ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাস ও ফাতাহর সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনার ব্যাপারে এরদোয়ানকে অবগত করেন। এছাড়া ফিলিস্তিনি নাগরিক ও অন্যান্য দলগুলোর ওপর মার্কিন প্রশাসনের চাপ প্রয়োগের ব্যাপারেও আলোচনা করেন তারা। টেলিফোনে আলোচনার সময় মাহমুদ আব্বাস তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে ফিলিস্তিনের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তার অনুরোধ জানান।
জেরুসালেমে অফিস ও দূতাবাস চালু না করতে কসোভো এবং সার্বিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করায় তুরস্কের প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মাহমুদ আব্বাস।
বিশ্বাসঘাতকতা করায় লেবাননে আমিরাতের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ
দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের প্রতিবাদে বৈরুতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে লেবাননিরা। গত বুধবার রাতে তারা দূতাবাসের সামনে সমবেত হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের শাসকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
দুই দেশের শাসকদের তারা বেঈমান ও বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যায়িত করেন। তারা বলেন, আবু ধাবির যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন জায়েদ ও বাহরাইনের শাসক গোটা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তারা শয়তানি শক্তির কাছে নিজেদেরকে বিকিয়ে দিয়েছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা ছিল। তারা মজলুম ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন এবং ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে আমিরাত ও বাহরাইনের প্রতি আহ্বান জানান।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আবাসিক দপ্তর হোয়াইট হাউসে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তিতে সই করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদুল আকসার দখলদার ইসরাইলের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বর্ণবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ফিলিস্তিনের সব দল ও সংগঠন এবং আপামর জনসাধারণের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে চুক্তিতে সই করে এই দুই মুসলিম দেশ। এ নিয়ে এ পর্যন্ত চারটি আরব দেশ দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ ও সাধারণ মুসলমানেরা এই চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং বিক্ষোভ করেছে।
ফিলিস্তিনিরা বলেছে, আরব আমিরাত ও বাহরাইন ফিলিস্তিনিদের পিঠে ছুরিকাঘাত করেছে। ইসলাম বিরোধী শক্তির স্বার্থ রক্ষার্থে এটা করা হয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেছে।