পিকে হালদার সরিয়েছেন ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা

ক্রাইমবাতা রিপোট:  সাড়ে তিন হাজার কোটি নয় , প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার)  সরিয়েছেন ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান  থেকে অন্তত ১০ হাজার ২০০  কোটি টাকা  তিনি ও তার ঘনিষ্ঠরা সরিয়েছেন। এমন তথ্যই ওঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক  প্রতিবেদনে।   যে চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকাগুলো সরিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (এফএএস) থেকে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সরানো হয়। জানা গেছে , কারসাজির মধ্যমে ঋণের নামে কাগুজে প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে এসব অর্থ সরানো হয়। বিএফআইইউ এই প্রতিবেদনটি দুদক’কে পাঠিয়েছে।
সূত্র বলছে , প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েকজনসহ ২৫ থেকে ৩০ ব্যক্তির সহায়তায় এ অপকর্ম সংঘটিত হয়েছে। এদের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া এসব দুর্নীতির সঙ্গে  প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে পিকে হালদারসহ এ পর্যন্ত ৮৩ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের মালিকানাধীন ৩০টি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে এনবিএফআইয়ের কাছ থেকে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করে এবং এই অর্থ কানাডা, সিঙ্গাপুর ও ভারতে পাচার করে।

গত বছর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অবৈধ ক্যাসিনো মালিকদের সম্পদের তদন্ত শুরু করলে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে আসে। চলতি বছর ৮ জানুয়ারি দুদক অজ্ঞাত সূত্র থেকে প্রায় ২৭৫ কোটি লাখ টাকার সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। দুদক এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

Check Also

সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন

ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা:   ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।