সদ্য প্রয়াত দেশের প্রখ্যাত আলেম, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেন, হযরতের (আহমদ শফী) মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে, সম্মানের সঙ্গে হয়েছে। তার মৃত্যু অস্বাভাবিকভাবে হয়নি। এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন বাবু নগরী। কওমি ভিশনের ব্যানারে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে আলোচিত ফেসবুক আইডি উসামা মুহাম্মদের টাইমলাইন থেকে।
এতে তিনি আরো বলেন, হযরত আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। যখন বেশি অসুস্থ হয়ে গেছেন, তখন তাকে মজলিশে শুরার সদস্যরা হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি কিছুটা সুস্থ হলেও শ্বাসকষ্ট ছিলো। তাই পরে তাকে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে ১৮ তারিখ শুক্রবার হযরত ইন্তেকাল করেন। এই ইন্তেকালটি স্বাভাবিক, অস্বাভাবিক হয় নাই। হযরতকে কেউ খুন করে নাই, খুন করার কোন প্রশ্নই নাই। যেখানে সকলের চোখের অশ্রু ঝরেছে, সবাই হযরতে আশেক। খুন কে করবে? হযরতের দুশমন এখানে কেউ নাই, সব দোস্ত, বন্ধু, আশেক, ছাত্র, মুরিদান, খুলাফা। সুতরাং হযরতের মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। এটা হাকিকত, এটা বাস্তব। এর বিপরীত যদি কেউ বলে, হযরতের লাশ নিয়ে যদি কেউ রাজনীতি করে; হযরতের মৃত্যু অস্বাভাবিকভাবে হয়েছে, তাকে খুন করা হয়েছে, এসব কথা যারা বলে, এগুলো নির্ভেজাল মিথ্যা ছাড়া কিছু নয়। আপনারা এগুলোর দিকে কান দেবেন না। এগুলোর দ্বারা মাদ্রাসার আরো ক্ষতি হবে। পরিবেশ অশান্ত হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, কেউ কেউ বলছে এটা সরকারিভাবে তদন্ত করা হোক। এটা যদি করা হয় তবে হযরতের লাশ কবর থেকে তোলা হবে। এটা করলে হযরতের সঙ্গে চরম বেয়াদবি করা হবে, চরম বেয়াজ্জতী হবে। এসব মিথ্যাচার, প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে মাদ্রাসাকে ধ্বংস করার জন্য। আমরা জান দিয়ে হলেও এই মাদ্র্রসাকে হেফাজত করবো ইনশা আল্লাহ।
এর আগে গত ২৬শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির ব্যানারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আহমদ শফীর মৃত্যু অস্বাভাবিক আখ্যা দিয়ে এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে আলেমদের একটি পক্ষ। এ সময় হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র বিক্ষোভকে বহিরাগত উসকানি আখ্যায়িত করে এটিরও বিচারের দাবি জানানো হয়।
আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও মুফতি মোহা. ওয়াক্কাস বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই আল্লামা আহমদ শফী সাহেবের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। কোনো সন্দেহ নেই এর মধ্যে। একটি শক্তি হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। যার পরিণতিতে আহমদ শফী সাহেবের নির্মম মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।