চৌগাছায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদের সভাপতির নামে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য প্রচারের প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মানববন্ধন

মোঃ রুহুল আমিন( চৌগাছা) যশোরঃযশোরের চৌগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা উদীচীর আহবায়ক সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে ফেসবুকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা, বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রচারের প্রতিবাদ, সরকারি ঘোষণানুযায়ী এলাকার বিভিন্ন সড়ক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ, চৌগাছা-যশোর সড়কের ‘‘কড়ইতলা বাজার’’কে “মুক্তিযোদ্ধা নগর” নামকরণ এবং প্রশাসন কর্তৃক যে সকল স্থাপনায় রাজাকার মুজাহিদ আলীর পিতার নামে নামকরণ করা হয়েছে তা অবিলম্বে বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানবন্ধনে দাবিগুলির সন্তোষজন সমাধানে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় চৌগাছা শহরের মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য মোড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা জনতার ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে উপজেলার শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, স্ত্রী, স্বজনসহ প্রায় তিনশতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।
এই মানবনন্ধনে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার ও মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ।
মানবন্ধনে নেতৃত্বস্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদ নেতা রেজাউল ইসলাম, আরজান আলী, রওশন আলী, হয়াদার আলী, এরশাদ আলী, মতিয়ার রহমান, মসলেম উদ্দীন, আবু বক্কার, ইমদাদুল হক ছবি, আব্দুল মাজিদ, আলতাফ হোসেন, উপজেলা উদীচীর যুগ্ম সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য শওকত আলী, কড়ইতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে ‘‘অদ্যকার মানববন্ধন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা জনতার পক্ষ থেকে প্রশাসনের প্রতি আহবান’’ শীর্ষক একটি প্রচারপত্র বিলি করা হয়। প্রচারপত্রে উপরোক্ত দাবিগুলি রেখে বলা হয়;
আমরা জানি একটি বর্ণচোরা কুচক্রীমহল স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার পরিবারকে গোপনে ইন্ধন যোগাচ্ছে এবং এই রাজাকার পরিবারের আমেরিকা প্রবাসী একজন সদস্য মোঃ শওকত আলী, প্রশাসনের উচ্চস্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা, প্রভাবশালী রাজনীতিক, স্থানীয় বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিগণের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন, যা বীর মুক্তিযোদ্ধা জনতা অবগত আছেন। রাজাকার পরিবারের এই প্রবাসী যিনি সেদেশে তারেক রহমানের সরকার উৎখানের আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত। গত ১লা সেপ্টেম্বর ২০১৯ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যুক্তরাষ্ট্র শাখার উদ্যোগে যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, ২রা সেপ্টেম্বর যা অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয় সেখানে তিনি বক্তব্য রাখেন, যার ভিডিও চিত্র আমাদের হাতে রয়েছে (যার একটি ফেসবুক লিংক উল্লেখ করা হয়)।
প্রচারপত্রে আরো বলা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা বিশ্বাস করে, জনতার আন্দোলন কখনো বৃথা যায়না। কুচক্রীরা পরাজিত হবেই। বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অর্জন আমাদের “স্বাধীনতা”, যা অর্জিত হয়েছে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে। সেই স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধীতাকারী বর্তমান সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রাজাকার পরিবারের কোন সদস্যের নামে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোন নামকরণ হতে পারেনা। আর তা যদি হয়, তা হবে রাজাকারকে বৈধতা দেয়ার শামিল।

Check Also

সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন

ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা:   ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।