মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, আমরা ওকলাতনামায় মিন্নির সই ও স্বাক্ষর নিয়েছি। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আদালত থেকে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পেয়েছি। উচ্চ আদালতে দ্রুত আপিল করবো।
এর আগে গত বুধবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। মিন্নিসহ ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন, রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় ও মো. হাসান।
আর খালাস পেয়েছেন মুসা, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম ওরফে সাইমুন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ভূবন চন্দ্র হালদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মৃত্যুপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের জন্য রায়সহ মামলার যাবতীয় নথিপত্র আগামী রোববার (৪ অক্টোবর) উচ্চ আদালতে পৌঁছতে পারে বলে জানাগেছে।
বরগুনা কোর্ট সূত্র জানিয়েছে, মিন্নিসহ ৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স যথাসময়ে হাইকোর্টে পৌঁছাবে। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের জন্য রায়সহ যাবতীয় নথিপত্র প্রস্তুতের কাজ চলছে। ওই নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করবে। নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়। রায় হাইকোর্টে আসার পর আসামিরা সাত দিনের মধ্যে আপিল আবেদন করতে পারবেন। মূলত কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। তবে দণ্ডিতরা বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল ও আপিলের সুযোগ পাবেন।