সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষ এখনো পানিতে ভাসছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় লাবসা, ঝাউডাঙ্গা ও বল্লী ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার কারণে শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসি জানান, শহরের প্রাণ সায়ের খাল খননের জন্য খালের কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ দেওয়া হয়। এতে করে খালের ও বর্ষার পানির চাপে লাবসা, ঝাউডাঙ্গা, আগরদাড়ী ও বল্লী ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
ফলে শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এরপর পানিবন্দি মানুষ জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানালে তিনি এক সপ্তাহের জন্য খাল খননের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে খালের কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামে জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিষ্কাশন হয়নি। পানি নিষ্কাশন না হবার কারণে এখনো পানিবন্দি মানুষ দুর্ভোগে রয়েছে। এক ইউপি সদস্য জানান, জেলা প্রশাসক যদি আরও কিছুদিন প্রাণ সায়ের খালের বাঁধ ছেড়ে দিয়ে রাখে তাহলে আমাদের এই ৩টি ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা দ্রুত নিষ্কাশন হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ৩টি ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষ।