মেঃ রাসেল হোসেন, যশোর(সদর) প্রতিনিধিঃ ট্যাংক লরি থেকে চুরি করে জালানি তেল নামানোর সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে হাইওয়ে পুলিশ। এসময় তেল চোর সিন্ডিকেটের কয়েকজন সদস্যকে আটকের কয়েক মিনিট পরেই আবার দফারফার মাধ্যমে তাদের ছেলে দেয়া হয়।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মোড় বেলতলা নইমুদ্দিনের দোকানে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে পুলিশ তেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের আটকের খবরটি সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয় কয়েকজন দুর্বৃত্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মোড় বেলতলায় দীর্ঘদিন ধরে চোরাই তেলের ব্যবসা করে আসছেন নইমুদ্দিন। নইমুদ্দিন ও তার দুই ছেলে এবং জামাইসহ একই পরিবারের চারজনে এই অবৈধ ব্যবসা করে থাকেন। দিন-রাত ভর খুলনার ডিপো থেকে যশোর, ঝিনাইদহ, কুস্টিয়াসহ উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেন বিভিন্ন ট্যাংক লরিতে বহন করে থাকে। ওই সকল ট্যাংক লরি খুলনা থেকে এসে বসুন্দিয়া মোড় বেলতলা নইমুদ্দিনের দোকানে আসে। এরপর ওই ট্যাংক লরি থেকে তেল নামানো হয়। ট্রাংক লরির চালকরা নইমের দোকানে এসে নাম মাত্র অর্ধেক মূল্যে বিভিন্ন ধরনের জালানি তেল বিক্রি করে থাকে। আর নইম চালকদের সাথে যোগাযোগ করে প্রতিদিন কয়েক হাজার লিটার তেল নাম মাত্র মূল্যে ক্রয় করেন।
সোমবার বেলঅ সাড়ে ১১টার দিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের এএসআই স্বপনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বসুন্দিয়া মোড় বেলতলায় আসেন। এসময় (চুয়াডাঙ্গা ঢ-৪১-০০৩৪) নম্বরের একটি ট্যংক লরি সেখানে দাড়িয়ে নইমের দোকানে চোরাই তেল নামানো অবস্থায় ধরে ফেলে পুলিশ। এছাড়া গাড়িটিও নিয়ন্ত্রণে নেন। এসময় পুলিশের উপর উত্তেজিত হয় নইমসহ তার ছেলেরা। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেবে বলে জানানোর পরে নইমরা ভুল স্বীকার করে।
এই খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন প্রেসক্লাব বসুন্দিয়ার সেক্রেটারি আবু তাহের। এসময় নইমসহ তার সহযোগিরা সাংবাদিকদের দেখে নেয়ারও হুমকি দেয়। এরপর শুরু হয় পুলিশের সাথে দেনদরবার। এক পর্যায় ঘন্টাখানেক ধরে দফারফার পরে পুলিশ তাদের পাওনা নিয়ে ফিরে চলে যায়।
এই ব্যাপারে এএসআই স্বপন কুমার বলেছেন, আমি খবর পেয়ে এখানে এসে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণে নিই। কিন্তু প্রথম দিকে নইম ও তার সহযোগিরা পুলিশের উপর আক্রমনাত্বক আচারণ করে। পরে আবার তাদের কাছে ভুল স্বীকার করেছে।